কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলায় গত ১৩ এপ্রিল সোমবার প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলে জেলায় হইচই পড়ে যায়। নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
করোনা সংক্রমণ রোধে গৃহীত হয় একের পর এক নানা পদক্ষেপ। অনেকেই সমাজ ও স্বজনের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্বেচ্ছায় চলে যান হোম আইসোলেশনে। বহিরাগত ঠেকাতে প্রশাসনের তৎপরতার পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় গঠিত হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সক্রিয় হয় ৯৯৯।
গত ১ মাস ১২ দিনে একে একে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকলেও মৃত্যুর কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে করোনা উপসর্গ নিয়ে ২জন শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
তথ্য সূত্রে, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় গত ২৩ মে পর্যন্ত ১ হাজার ৪ শ ৬৬ জনের নমুনা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিষ্ঠিত পলিমা’রেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাবে পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয় ৬৩ জন। এদের মধ্যে সম্মুখ যোদ্ধা ২ জন চিকিৎসক (এমবিবিএস) সহ স্বাস্থ্য বিভাগের ৯ জন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) ও ২ জন নারী পুলিশ রয়েছে।
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ২৯ জন রোগীর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১ জন, চিলমারী উপজেলায় আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ জন, ফুলবাড়ী উপজেলায় ৭ জন আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ জন, রৌমারী উপজেলায় আক্রান্ত ৩ জনের সকলেই সুস্থ হয়েছেন, নাগেশ্বরী উপজেলায় আক্রান্ত ৬ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন একজন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় আক্রান্ত ৭ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ জন, উলিপুর উপজেলায় আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন একজন এবং রাজারহাট উপজেলায় আক্রান্ত ৩ জনের সকলেই সুস্থসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন।
এই পরিস্থিতিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব উৎযাপিত হয়েছে নিরানন্দে। আর্থিক টানাপোড়েন ও করোনা সংক্রমণের ভয়ে কেনাকাটাসহ সংযমের বিষয়টি ছিল চোখে পরার মত। ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে মসজিদে, বাসাবাড়ির ছাদে নিরাপদ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে।
এপিএস/২৮মে/পিটিআই/কুড়িগ্রাম