এপিএস আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আজ তালিবানের জয়ে আনন্দ প্রকাশ করে একটি অডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছে সালাউদ্দিন। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন আফগানিস্তানের ইসলামি আমিরশাহিকে আরও শক্তিশালী করেন। তাহলে তারা কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে পারবে।’’ কাবুলে তালিবান নেতারা যা-ই বলুন, পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গি নেতার এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, আইএস ও তালিবানের মধ্যে বিরোধ নতুন নয়। বিশেষত ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়। ভারতে বর্তমানে সক্রিয় আইএসের সেলগুলি খোরাসান শাখার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। ফলে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়েও আইএস ও পাক মদতে পুষ্ট এবং তালিবান-ঘনিষ্ঠ সংগঠনগুলির মধ্যে বিরোধ আছে বলে মনে করেন তাঁরা। বস্তুত কাশ্মীরের আইএসের সেল আসলে ভারত সরকারের তৈরি সংগঠন বলে অনেক বারই দাবি করেছে পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তইবা।
এর মধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তালিবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা হায়বাতুল্লা আখুনজ়াদার গতিবিধি নিয়ে। ভারত সরকারের একটি সূত্রের দাবি, তালিবানের এই শীর্ষ নেতাকে গত কয়েক দিন ধরে তাঁর সংগঠনের নেতারাই দেখেননি। তাদের দাবি, আখুনজ়াদা পাক সেনার হেফাজতে থাকতে পারেন। আনন্দ বাজার