আফগানিস্তানে তালিবানদের দ্রুত অগ্রযাত্রার মুখে কর্মী ও নাগরিকদের সরিয়ে নিতে অনেক দেশ হিমশিম যাচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশি কূটনীতিকদের কাবুল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে।
ইতিমধ্যে নিজেদের কূটনীতিক, আফগান দোভাষীদের আফগানিস্তান ত্যাগ নির্বিঘ্ন করতে মার্কিন সেনাদের প্রথম দল কাবুলে পৌঁছেছে।
বিবিসি জানায়, শুক্রবার তালেবান যোদ্ধার লোগার প্রদেশের রাজধানী পুল-ই-আলম দখল করে নিয়েছে, যা রাজধানী থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে।
জাতিসংঘ প্রধান বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, যা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনছে।
পরিস্থিতির চাপে ইতিমধ্যে আড়াই লাখের বেশি মানুষ বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
মে মাস থেকে ২০ বছরের যুদ্ধক্ষেত্র আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করে মার্কিন বাহিনী। এরপর থেকে তালেবানদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশটির ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর ১৮টি দখল করে নিয়েছে, তাও মাত্র এক সপ্তাহের মাঝে।
শুক্রবার আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার, পার্শ্ববর্তী লস্কর শাহ ও পশ্চিমের হেরাত দখল করে নেয় তালেবানরা।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি তালেবানদের এগিয়ে আসাকে ‘গভীর উদ্বেগের’ বলে উল্লেখ করেন। তবে শিগগিরই কাবুলের পতন হবে এমন আশঙ্কা নাকচ করেছেন।
এ দিকে চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ দূতাবাসের কর্মী ও আফগান দোভাষীদের ফেরাতে মোট ৩০০০ হাজার মার্কিন সেনা আসছে।
কাবুল থেকে আকাশপথে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
গোয়েন্দা তথ্যের মূল্যায়ন করে সম্প্রতি মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ৩০ দিনের মধ্যে কাবুল পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে, আর পতন ঘটতে পারে ৯০ দিনের মধ্যে। তবে এও বলেছেন, যুদ্ধের গতিপথ বদলে গেলে অন্য কিছুও হতে পারে।
এ দিকে নিজেদের কর্মীদের ফেরাতে ৬০০ সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য। জার্মানির মতো এ দেশটিও স্বল্পসংখ্যক কর্মী রাখবে দূতাবাসে। তবে ডেনমার্ক ও নরওয়ে দূতাবাস পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।