মোঃ আলাউদ্দীন মজুমদার শাহীন, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ বৈরি আবহাওয়া ও পোঁকা মাকড়ের উপদ্রবের কারণে গাাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বষার্লীর ( আউশ ধানের) ফলন ভাল না হওয়ায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে কৃষকরা। ধান কাটামাড়াইয়ের পর দেখা যাচ্ছে প্রতি বিঘা জমিতে ২ হতে ৩ হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। যথা সময়ে বৃষ্টি বাদল না হওয়ায় ধানক্ষেতে ফলন বিপর্যয় হয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলদি মৌসুমে উপজেলায় ৮ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে বর্ষালী ধানের চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। এক জমিতে ক্রি-ফলা চাষাবাসে এখন কৃষকরা মরিয়ে হয়ে উঠেছে। সে কারণে বোরধান কাটার পর পরই বর্ষালী ধানের চাষাবাদ করতে হয়। যথা সময় বৃষ্টি বাদল হলে বর্ষালী ধানের ফলন ভাল হত। কিন্তু চলতি মৌসুমে বৈরি আবহাওয়ার কারণে যথা সময়ে বৃষ্টি বাদল না হওয়ায় ফলন ভাল হয়নি। দহবন্দ গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে বর্ষালী চাষাবাদ করেছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ মটারের মাধ্যমে ক্ষেতে পানি দেয়া, বালাইনাশক প্রয়োগ, পরিচর্যা করা সবমিলে চারা রোপন থেকে শুরু করে কাটা মাড়াইয় পর্যন্ত যে খরচ হয়েছে, ধান বিক্রি করে সে খরচ উঠছে না। তিনি বলেন, প্রতিবিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৭ হতে ৮ হাজার টাকা। অথচ ধান বিক্রি হচ্ছে ৬ হতে ৭ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এ.কে.এম ফরিদুল হক জানান, অনেক জমিতে এখন ত্রি-ফলা চাষাবাদ হয়। তবে আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে ফলন একটু খারাপ হয়েছে। যথা সময়ে বৃষ্টি বাদল হলে ফলন আরও ভাল হত। কৃষকদের জমি চাষে যে খরচ হইছে তা ধান বিক্রি করে খরচ উঠবে না।