তালহা জাহিদ, (বিশেষ প্রতিবেদন): জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাদার অফ হিউমিনিটি, জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দারিদ্র অসহায় জনগোষ্ঠীর দুঃখ কষ্ট লাগবে, সারা দেশের ন্যায়ে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রামের অসহায় হত-দরিদ্র মানুষ গুলো যেন, খুব সহজে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোয়ায় হাতের নাগালে নিজ নিজ মোবাইলে টাকা পৌঁছে দেওয়ায় এই প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এতে দারিদ্র্য অসহায় মানুষ, জীবন জীবিকার চাকা ঘোরাতে যারা আজ অক্ষম সেই লাঠি ভর করা বয়স্ক ভাতাভোগী গ্রামের সহজ সরল লোকজন খেয়ে না খেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যাংকের লাইনে দাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ভাতার টাকা নিতে হতো, তারা এমন ডিজিটাল সিদ্ধান্ত নেওয়াতে খুশি হয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য বুক ভরে দোয়া করেছেন।
অন্যদিকে কতিপয় অসাধু লোকজনের দূর্নীতি অনিয়মের কারণে প্রধানমন্ত্রীর এমন মহান ও মহৎ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত ভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করেন গ্রামাঞ্চলের নিরক্ষর অসহায় ভাতাভোগী দরিদ্র মানুষ গুলো। এব্যপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা দূর্নীতির ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে অতন্ত্য ক্রোধের সাথে বলেছেন, ”যারা গরিবের টাকা মেরে খান, তাদের রাজনীতি করার দরকার নাই ভিক্ষা করেন।”
উজিরপুর উপজেলার মোট ২৩ হাজার ভাতাভোগী ব্যক্তি বা পরিবার রয়েছেন যাদের নিজ নিজ মোবাইলের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হবে। অসহায় মানুষের পাশে থাকার প্রচেষ্টায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই মাতৃত্ব কালিন ভাতা থেকে শুরু করে শতভাগ বয়স্ক ভাতা, বিধবা/ স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা’সহ নানাবিধ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু অন্যদিকে ভাতার টাকা সঠিক ভাবে না পাওয়ার অভিযোগের যেন অন্ত নেই।
এব্যাপারে উপজেলার সাতলা ইউনিয়নে ২৮ জুলাই সোমবার ইউনিয়ন পরিষদে সরোজিনে উপস্থিত হয়ে দেখা যায়, অভিযোগের লম্বা লাইন। এসময়ে ৭নং ওর্য়াডের নূর হোসেন বালী(৭৩), পিতাঃ মৃত. মোকছেদ আলী বালী’ এর বয়স্ক ভাতার ৩ হাজার টাকা তার মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে আসলে, এক দিন পরে হ্যাক করে তার টাকা অন্য একটি নাম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই নাম্বার বন্ধ এবং তিনি তার প্রমানও দেন। আবার মোঃ কামাল সিকদার, পিতাঃ জব্বার শেখ, গ্রাম উওর সাতলা, তিনি জানান তার প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা প্রয়াত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আজাদ এর বাড়ির আনোয়ার সেরনিয়াবাত নামে একজনের মোবাইলে ভূলে ডুকে গেছে বলে নিশ্চিত করেন উজিরপুর সমাজ সেবা অফিসের কারিগরি প্রশিক্ষক মোঃ ইসমাইল হোসেন। এলাকাবাসি জানান ভূল করে যার মোবাইলে টাকা গেছে তিনি লাখ টাকা মালিক। এমন অভিযোগের যেন শেষ নেই, একের পর এক জনের অভিযোগ শুনতে শুনতে কান যেন বধির প্রায়। বেশির ভাগেরই দেখা যায় ভাতার বইতে যে নাম্বার দেওয়া আছে, সেই নাম্বারে টাকা না এসে বরং ভূল নাম্বারে টাকা দেওয়া হয়েছে, এমন অনিয়ম আর ভূলে সংখ্যা মোট ভাতাভোগীদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০% ভাতাভোগী তাদের টাকা এখনও হাতে পাননি।
এব্যাপারে সাতলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন হাওলাদার বলেন, “আমার এলাকায় দারিদ্র্য ভাতাভোগীদের অভিযোগের শেষ নেই, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের টাকা দূর্নীতি ও অনিয়ম করার সুযোগ নাই, আমি বিগত ৭ দিন যাবত পৃথক পৃথক ভাবে প্রতি ওর্য়াডে মিটিং করে সমাজ সেবা অফিসের দ্বায়িত্বরত কারিগরি প্রশিক্ষক’কে সাথে নিয়ে এক এক করে, যাচাই বাছাই করে কেন টাকা পাইলো না? সে বিষয়ে বেশ কিছু অনিয়মের প্রমান পেয়েছি। এবং পরবর্তীতে ভূল সংশোধন করে যাতে এই দারিদ্র্য অসহায় লোকজন সঠিক ভাবে সকল ভাতার টাকা পাইতে পারে সে ব্যবস্থা করছি।” তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহারের টাকা কাউকে লোপাট করে খাওয়ার কোন সুযোগ আমি দিবো না, জনগণের টাকা জনগণকে ফেরত দিতে হবে। নইলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময়ে ভাতাভোগী জনসাধারণের মুখে একাধিক ইউপি সদস্যের নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ শোনা যায়।
পরবর্তীতে আসছে…