স্টাফ রিপোর্টারঃ সারাদেশে ক্যাসিনো-জুয়া বন্ধে সরকার তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ইউরেকা ফিলিং স্টেশনের নিকটবর্তী পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় দিন-রাত প্রকাশ্যেই জুয়ার আসর চলছে। কলারোয়া থানার এক কিলোমিটারের মধ্যে এ আসর চল্লেও নীরব ভূমিকায় পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে অতিবিলম্বে জোয়ার আসর ভেঙে গুরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে কলারোয়া ট্রাক শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে গামা শহিদুল, বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ভুট্টো, বাগআঁচড়ার সিরাজসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে এ রমরমা জুয়ার আসর চলছে। পাশাপাশি মাদক সেবনও করে থাকে খেলতে আসা জুয়াড়িরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এখানে খেলতে আসা বেশিরভাগই নিম্নআয়ের মানুষ। দূর দূরস্থ থেকে বিত্তশালী বহিরাগতদের নিয়ে দিন-রাত পরিত্যক্ত ইটভাটায় হাজার হাজার টাকার বাঁজি ধরে তাসের আড্ডা বসিয়ে চলছে বাণিজ্য। সেই সাথে চলছে মাদকসেবনের মহা উৎসব। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক খেলতে আসা এক জুয়াড়ি জানান, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে খেলা চলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের ব্যক্তিরা জানান, প্রকাশ্যেই দিন-রাত জুয়ার আসর চললেও প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখছিনা। ইদানিং দেখা যাচ্ছে এই তাসের বোর্ডের আসর গুলোতে নামি-দামি মোটরসাইকেল নিয়ে যুবকদের আনাগোনা আগের চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষ করে করোনাকালিন সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় উঠতি বয়সী ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সের যুবকদের গভীর রাত পর্যন্ত এ জুয়ার আড্ডায় দেখা যাচ্ছে। এসবের কারণে এলাকার চুরি ছিনতাই মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধ সংক্রান্ত কার্যক্রম বেড়েই চলছে। এমনভাবে চলতে থাকলে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে চলে যাবে। এ জুয়ার কারনে পারিবারিক ভাবে বহু পরিবারের মাঝে অশান্তি বিরাজ করছে। এবিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে অতিবিলম্বে এ জুয়ার আসর বন্ধ করে দেওয়ার দাবি যানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর জানান এক মাস আগে ওই এলাকায় জুয়ার আসরের গোপান সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদি ফের জুয়ার আসর বসে থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই তদন্ত করে আইণগত ব্যবস্থা নেব।