আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: ২১ জুলাই (বুধবার) ঈদ উল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। গোঠা সিলেট জুড়ে প্রতি বছর কোরবানী হাটে থাকে ব্যাপক আয়োজন। শহর তথা গ্রাম গঞ্জের বাজারে দেখা মেলতো দেশ বিদেশী গরু ও ছাগল, উটের। কিন্তু চলতি বছর ২০২১ ইং করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে দিশেহারা করে তুলেছে। প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের মানুষ করোনা পরিস্থিতিতে প্রবাসের উপর ভর করলেও কমেছে দেশে পাঠানোর রেমিটেন্স। যার ফলে অনেকেই এ বছর অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কোরবানী দিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। তবে বৃহত্তর সিলেট জুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউন থাকলে পশু খামারিরা আগ থেকে পশু মজুত রেখেছেন। যদিও প্রথম দিকে পশুর লোকিয়ে রাখলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যবসায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখে পড়তে হবে ভেবে নগরি তথা বিভিন্ন হাট বাজারে রাস্তারা পাশে পশু বিক্রির পক্রিয়া করেছেন। সময় যথ ঘনিয়ে আসছে হাট বাজারে, পাড়ায় মহল্লায় পশু গরু, ছাগল, ভেড়া দিয়ে বাজার বসিয়েছেন। তাছাড়া খামারিদের খামারে রয়েছে অসংখ্য পশু যাহা চোখে পড়ার মতে।
প্রথম দিকে লকডাউন পরিস্থিতিতে পশু সংকট হওয়া সম্ভাবনা থাকলে বর্তমানে সংকটের কোন সম্ভাবনা নেই। বরং চাহিদার চেয়ে বেশী গরু ও ছাগল সিলেটে জুড়ে রয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় প্রাণি সম্পদক সুত্রে জানা যায়, এ বছর সিলেট বিভাগে কোরবানীর সাড়ে ৪ লাখ পশুর চাহিদার বিপরীতে পশু গরু ও ছাগল মজুদ রয়েছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার। সিলে বিভাগে গরু মোটাতাজাকরণ খামারী রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার। এসব খামারীদেগর নিক কোরবানীযোগ্য গরু ছাগল রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৭৪ হাজার। এছাড়া ব্যক্তিগত পর্যায়ে গৃহস্থল ও কৃষক পরিবারের কোরবানীর জন্য পালিত গরু ছাগলের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ। খামারী ও ব্যক্তি পর্যায়ে মিলে বিভাগে প্রায় ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার কোরবানীযোগ্য পশু রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১ লক্ষ ৯২ হাজার ২৫৮, সুনামগঞ্জে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার১০৫,হবিগঞ্জে ৯৯ হাজার ২৪৪ এবং মৌলভীবাজারে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৯৩টি পশু রয়েছে। এছাড়া কোরবানীর সময় বাইরের জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা হাটে অনেক গরু আনেন। এদিকে, সিলেট বিভাগে কোরবানীর পশুরু চাহিদা রয়েচে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার। এর মধ্যে সিলেটে চাহিদা রয়েছে ১লক্ষ ৭২ হাজার, সুনামগঞ্জ ৬৮ হাজার ৫০০,হবিগঞ্জ ১ লক্ষ ২ হাজার এবং মৌলভীবাজারে ১ লক্ষ ৮ হাজার।