মহিবুল্লাহ পাটোয়ারী (মহিপুর -কুয়াকাটা )প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর মহিপুরের কুয়াকাটা পৌরসভার বাবুল মৃধা একজন চা বিক্রেতা। চায়ের দোকানের আয় দিয়ে স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ পাঁচজনের সংসার চলে।
কিন্তু করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান কঠোর লকডাউনের কারনে সংসারের আয়ের একমাত্র অবলম্বন চায়ের দোকানটিও বন্ধ হয়ে যায়। কোনরকম খেয়ে–না খেয়ে কষ্টে দিন কাটছিল তাদের।
তাদের এই দুরবস্থার কথা জানতে পরে প্রতিবেশী ও গনমাধ্যমকর্মী বাবু অনন্ত মূখার্জী মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামনকে জানান সব জেনে তাৎক্ষণিক ১০ জুলাই শনিবার রাত ১০ টার সময় খাদ্য সহায়তা নিয়ে তার বাড়িতে ওসি নিজেই হাজির হন।এসময় একই সাথে করোনার কারনে কাজ হারানো কুয়াকাটা সৌকতের ক্যামেরাম্যান জহির এবং হোটেলে রান্নার কাজে নিয়োজিত রেহানা বেগমের পরিবারের মাঝেও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। খাদ্য সহায়তা হিসেবে নমিতার পরিবার পায় ১০ কেজি চাল, পাঁচ কেজি আলু, দুই লিটার তেল, ১ কেজি ডাল ও এক কেজি পেঁয়াজ।
খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশি ৩টি পরিবার । তারা বলেন, ‘ করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি তারা কোন কাজ কাম নেই। সরকারের কোন সহায়তাও তেমন ভাবে পাইনা। আমাদের এই অবস্থার কথা শুনে ওসি নিজেই খাবার নিয়ে চলে এসেছেন। এই খাবার দিয়ে আমাদের পরিবার ১০ দিন খেয়ে থাকতে পারবে।
এসময় মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন আমরা জানতে পারি আয় না থাকায় খাবারের কষ্টে আছেন তাঁরা। রাতেই কিছু খাদ্যসামগ্রী তাঁদের বাসায় দিয়ে আসি।’ তিনি এই দুঃসময়ে কেউ যাতে কষ্টে না থাকেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সমাজের সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন করোনার এই ক্রান্তীলগ্নে সমাজের বিত্তবানদের সবার আগে এসব মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ।