তালহা জাহিদ ( বরিশাল): বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নে মৃত. নারায়ণ চক্রবর্তী’র সেজো ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাসুদেব চক্রবর্তী টুনু’র চাঞ্চল্যকর রহস্যময় মৃত্যু’কে কেন্দ্র করে, হারতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অংঙ্গ সহযোগী সংগঠন, হারতা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতি, অটো বাইক শ্রমিক ইউনিয়ন’সহ সর্বস্তরের জনসাধারণের আয়োজনে আজ ২৮ জুন সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলার হারতা বাজারে, ‘ বাসুদেব চক্রবর্তী টুনু হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন হারতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডাঃ হরেন রায়, তিনি বলেন, ” মিতু নামে এই মেয়েকে পুলিশের হেফাজতে দিতে পেরে আমি আনন্দিত, কেননা এই মেয়ের বিগত দিনে অনেক খারাপ রেকর্ড আছে, আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।”
উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক অমল মল্লিক, ইউপি সদস্য কৃষ্ণ বাড়ৈ, ভিকটিমের বড় ভাই ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবর্তী, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পরিমল সাহা, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কৃষ্ণ পান্ডে, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাব্যসচি হালদার লিটু, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মাইনুল ইসলাম মাঝি,’সহ প্রমূখ।
স্থানীয় লোকজনের থেকে জানা যায়, হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিতু ভাঙ্গরা পয়সারহাঠ, কুচিয়ার পাড়, সহ একাধিক বিয়ে করে ও অনেকের সাথে পরোকীয়া সম্পর্কে জড়ান কিন্তু কোথাও তার সংসার স্থায়ী করতে পারেনি। বরং অনেকের জমি ও নগদ অর্থ নিজের নামে করে, পরে তালাক দিয়ে অন্য একজনের সঙ্গে এমন অনেক অবৈধ সম্পর্কে জরিয়ে পরার প্রমান পাওয়া যায়। আরো জানা যায়, পুরুষদের এমন ফাঁদে ফেলতে তার রুপ যৌবন আর বেহায়াপনা’কে কাজে লাগাতেন।
গত ২৬ জুন শনিবার রাত আনুমানিক ১টা থেকে দেড়টায় হারতা ইউনিয়নে জামবাড়ি ভাঙ্গরা বাড়ির সংলগ্ন কালাম সরদারের ভাড়াবাড়ি স্থানীয় শিব ভাঙ্গরার মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা মিতু ভাঙ্গরা ওরফে মিতু মল্লিক এর বসত ঘর হতে হারতা বাজার সংলগ্ন মৃত. নারায়ণ চক্রবর্তী’র ছেলে বাসুদেব চক্রবর্তী টুনু’র রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। জানা যায় ভিকটিম বাসুদেব চক্রবর্তী টুনু’র সাথে দির্ঘদিন যাবত কথিত প্রেমিকা মিতু ভাঙ্গরার সাথে পরোকিয়ার সম্পর্ক ছিলো এঘটনায় হত্যার অভিযোগ এনে ভিকটিম বাসুদেব চক্রবর্তী টুনু’র ছোট ভাই যুবলীগ নেতা বরুণ চক্রবর্তী ২৬ জুন শনিবার বাদী হয়ে মিতু ভাঙ্গরা ওপফ মিতু’কে এক নাম্বার’সহ আরো চার থেকে পাঁচ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত অফিসার উজিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাইনুল ইসলাম জানান, ” সহকারী পুলিশ সুপার(উজিরপুর – বানারীপাড়া সার্কেল) আবু জাফর মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ স্যার ও উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসান স্যারের দিকনির্দেশনায় পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে আইনানুগ তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক সত্যকে তুলে ধরতে। এছাড়াও এজাহার ভুক্ত এক নাম্বার আসামি মিতু’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই, ইতি মধ্যে আমরা বিজ্ঞ আদালতে আসামিকে প্রেরণ করি এবং আসামি মিতুর পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করি। আমরা শতভাগ আশাবাদী আপনারা বিগত দিনের মতো এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে সঠিক বিচার পাবেন।”