মোঃ রাসেল হোসাইন বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকান্ডের দুই বছর পূর্ণ আজ। ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজ গেট এলাকায় নয়ন বন্ড বাহিনী প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে রিফাত শরীফকে। মামলার এক বছরের মধ্যে রায় ঘোষনা করলেও, রায়ের নয় মাস পরেও এখনও কার্যকর হয়নি রায়। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে প্রায় সময়ই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন রিফাতের মা। রিফাতের স্বজনরা বলছেন, রায় কার্যকর হলে শান্তি পাবেন তারা। আর সচেতন মহলের নাগরিকরা বলছেন, রায় কার্যকর হলে কমে যাবে কিশোর গাংয়ের প্রভাব। রিফাত শরীফকে হারানোর দুই বছরেও সন্তান হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি রিফাতের মা। প্রতিদিন সকাল-বিকাল ছেলের কবরের পাশে গিয়ে দাড়িয়ে থাকেন তিনি। তাদের দাবী, রায় ঘোষনার ৯ মাস পরেও কার্যকর হয়নি রায়। নিহত রিফাতের বাবা-মা। ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল ১০টায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সহায়তায় রিফাত শরিফকে কুপিয়ে হত্যা করে নয়ন বন্ড ও তার ০০৭ বন্ড বাহীনি। ১জুলাই পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় বাহিনী প্রধান নয়ন বন্ড। হত্যার পরিকল্পনাকারী দাবী করে রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একের পর এক গ্রেপ্তার হয় আসামীরা।
মামলার সাক্ষী প্রমাণ শেষে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামীর মধ্যে স্ত্রী মিন্নিসহ ৬জনকে ফাসির আদেশ দেন। ওই বছরই ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১১ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় শিশু আদালত। সব আসামীরাই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। তবে করোনার কারনে আদালত বন্ধ থাকায় থমকে আছে আদালতের কার্যক্রম। সচেতন মহলের নাগরিকরা বলছেন, দ্রুত রায় কার্যকর হলে বরগুনাসহ সারাদেশের কিশোর গ্যাং সৃষ্টি বন্ধ করা যাবে। প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনসহ ২৪ জনকে আসামি করে চার্জশীটে পুলিশি। সাক্ষ্য দিয়েছিলো ৭৬ জন সাক্ষী। তার উপর ভিত্তি করেই আদালতে রায় হয়। তবে উচ্চ আদালতে এমন রায় বহাল থাকবেকি সে সন্দিহায় নিহত রিফাতের পরিবার।