সুপ্রিম কোর্ট প্রতিনিধি
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হুদা বরিশাল বারের একজন বিজ্ঞ আইনজীবী রবিউল ইসলাম রিপনকে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ধারা ৭ এর ৩ বিধান সহ প্রচলিত অন্যান্য আইনের বিধান লঙ্ঘন করে অবৈধ ভাবে ৭ দিনের সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং তার বিরুদ্ধে উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন এ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া । এর পাশাপাশি যেহেতু এতদিন পর্যন্ত কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেন নি সেজন্য কতৃপক্ষের নিস্কৃয়তাকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি ।
মামলায় বিবাদী করা হয়েছে ১০ জনকে। বিবাদীগণ হলেন আইন সচিব, সরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এর পাশাপাশি পুলিশের আইজিপি, বিভাগীয় কমিশনার( বরিশাল), জেলা প্রশাসক (বরিশাল), সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব নাজমুল হুদা এবং সেখানকার দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত টিসিবির কর্মকর্তা জনাব সুবোধ মজুমদার। উক্ত সাজার ঘটনা বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমসহ নানা প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ হয় এবং তথ্য ও প্রমাণ হিসেবে তার কপিও তিনি সরবরাহ করেছেন বলে জানান।
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭ এর ৩ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেট। আবার সংবিধানের ৩১, ৩২ অনুচ্ছেদ বিধান লঙ্ঘন হয় বলেও রিট পিটিশনের ব্যাখ্যা থেকে জানা যায়
করোনার এই ভয়াবহ অবস্থায় একজন বিজ্ঞ আইনজীবীকে দেশের সচেতন মানুষ হিসেবে প্রতিবাদ করায় তাকে কোন রকম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাকে শাস্তি দেয়া হয়। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭ এর ৩ এর বিধান অনুযায়ী তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সুযোগ দেয়া উচিত ছিলো কিন্তু তিনি তা না করে এই বিধানের লঙ্ঘন করেছেন। উক্ত ধারায় আরো বলা হয়েছে যদি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না যায় তাহলে নিয়মিত মামলা করতে হবে। ভয়াবহ কোন অপরাধ না হলে ভারতের কিছু রায়েও বলা আছে হাতকড়া পড়ানো যাবে না। তিনি এই বিধান লঙ্ঘন করে তাকে হাতকড়া পড়ান । উনার এই ধরণের কাজে সারা বাংলাদেশের আইনজীবীর পেশাগত যে সম্মান তা ক্ষুন্ন হওয়ায় এ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া সংক্ষুব্ধ হয়ে এই রিট পিটিশন দায়ের করেন বলেও জানান।
সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদে আইনের দৃষ্টিতে সমতার বিধান করা হয়েছে তার অধীনে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের বিরুদ্ধেও ব্যাবস্থা নেবার বৈধতা আছে। তাই উনি যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে । এছাড়াও সংবিধানের ২১(১) ও (২) অনুযায়ী নাগরিক এবং প্রজাতন্ত্রে কর্মচারীদের দ্বায়িত্বের বিষয়ে বলা হয়েছে তিনি তার এই দ্বায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে যে শাস্তি দিয়েছেন তা অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয় ।
রিট পিটিশনে ৩ টি বিষয়ের দাবী রেখেছেন-
১. উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ তদন্ত কমিটি করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা
২. বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা
২. সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটসহ ট্যাগ অফিসারকে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান।
এপিএস/১৪মে/সুপ্রিম কোর্ট প্রতিনিধি