নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের চৌকস ওসি আলাউদ্দিন মিলন ও সংস্লিষ্ট টিমের সদস্যদের বুদ্ধিমত্তায় ধরা পড়লো বিশাল মোটরসাইকেল চোর চক্র। নানা টালবাহান ও উপরের তদবিরে বেরিয়ে যেতে চাইলেও পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারনে সম্ভব হয়নি। অবশেষে একটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ ৪ চোরের জায়গা হলো শ্রীঘরে।
শনিবার আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার দুপুরে বাকেরগঞ্জ পৌর বাসস্ট্যান্ড থেকে মোটরসাইকেলসহ তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফিরোজ আলমের ছেলে আবদুল্লাহ আল আজাদ, বাকেরগঞ্জ পৌরসভা চার নম্বর ওয়ার্ডের আমির আলী ব্যাপারীর ছেলে মেহেদী হাসান শাকিল, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রাজনগর গ্ৰামের হোসেন মল্লিকের ছেলে সাইদুল ইসলাম ইমরান ও পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের তেলিখালি গ্ৰামের বেলায়েত হোসেন মৃধার ছেলে রিপন মৃধা। তাদের বিরুদ্ধে চুরির মামলা হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন বলেন, শুক্রবার দুপুরে বাসস্ট্যান্ডে নিজেদের চোরাই মোটরসাইকেলের টাকা ভাগাভাগি করছিলেন চোর চক্রের চার সদস্য। এ সময় ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। মোটরসাইকেল নিয়ে আজাদ ও মেহেদী পালিয়ে যেতে পারেন- এমন সন্দেহে ৯৯৯-এ কল করেন ইমরান।
পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। তখন তারা চারজনই মোটরসাইকেলটির মালিকানা দাবি করেন। কিন্তু কেউই ক্রয়সূত্রে মালিকানার প্রমাণ দেখাতে পারেননি। পরে তাদের আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচা করছিলেন তারা। তাদের সঙ্গে আরো চার-পাঁচজন জড়িত রয়েছেন। এছাড়া উদ্ধার করা মোটরসাইকেলটি প্রথমে যিনি কিনেছেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া মোটরসাইকেলটির প্রকৃত মালিকের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।