ভারতে গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী কোটি কোটি জনগোষ্ঠীর চেয়ে শহরের বাসিন্দারা তুলনামূলক দ্রুত কোভিড-১৯ টিকা পাচ্ছেন। সরকারি তথ্যের বরাতে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির বৈষম্যের কথা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ভারতের সবচেয়ে অনুন্নত ১৭ কোটি ৬০ লাখ বাসিন্দার আবাস ১১৪টি জেলায় সব মিলিয়ে মাত্র ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। অথচ এর অর্ধেক বাসিন্দার আবাস এমন বড় ৯টি শহরে—যার মধ্যে আছে নয়াদিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে, থানে ও নাগপুর- এর সমান টিকা দেওয়া হয়েছে।
টিকাদানে বৈষম্য গতমাসে আরো প্রকট হয়েছে, যখন সরকার ৪৫ বছরের কম বয়সিদের কাছে বেসরকারিভাবে টিকা বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে শহরের বড় বেসরকারি হাসপাতাল ঘিরে থাকা বাসিন্দারা সুবিধা পেয়েছে। ভারত সরকারের টিকাদান পোর্টাল কো-উইনের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের প্রথম চার সপ্তাহে ঐ প্রান্তিক জেলাগুলোর চেয়ে উল্লেখিত ৯টি শহরে ১৬ শতাংশ বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে।
ভারতের সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্য মহারাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলের প্রান্তিক জেলা সাতারার বাসিন্দা ৩৮ বছরের কৃষক অতুল পাওয়ার বলেন, ‘শহরে বসবাসকারী আমার বন্ধুরা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা নিয়ে ফেলেছে। আমিও পয়সা খরচ করতে রাজি আছি। কিন্তু এখানে টিকার ডোজ সহজলভ্য নয় এবং লকডাউনের কারণে জেলার সীমানাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে।’ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও মন্তব্য করেনি ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জানুয়ারির মাঝামাঝিতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর এ পর্যন্ত ২২ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে ভারত। শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ভারতের চেয়ে বেশি টিকা দিতে পেরেছে।