পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে নিয়েছে স্ত্রী। গত রাতে সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের হকতুল্লাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ভোরে স্ত্রীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
স্বামী মো. কবির হোসেন তালুকদারকে আশংকাজনক অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর সকাল ৭টায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত কবির হকতুল্লাহ এলাকার মোছলেম তালুকদারের ছেলে। তিনি পেশায় পল্লী বিদ্যুতের ফোরম্যান হিসাবে কর্মরত।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আখতার মোর্শেদ জানান, এ ব্যাপারে থানায় হাসি বেগমের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে কবিরের শরীর থেকে কেটে ফেলা ‘পেনিস’ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
আহত কবিরের বরাদ দিয়ে প্রতিবেশী ও সহকর্মী মো. মাসুদ জানান, কবিরের প্রথম স্ত্রী হাসি বেগমের ঘরে ১৩ বছর ও ১ বছর বয়সের দুটি ছেলে সন্তান আছে। এই অবস্থায় গত প্রায় বছরখানেক আগে প্রথম স্ত্রীর অমতে গোপনে আরও একটি বিয়ে করে কবির। সম্প্রতি এ ঘটনা জেনে যায় প্রথম স্ত্রী। সেই থেকেই দুজনের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া চলতো।
মাসুদ আরও জানান, দ্বিতীয় স্ত্রী কবিতা আক্তার গর্ভবতী-এমন কথা দুইদিন আগে প্রথম স্ত্রী জানতে পারে। মঙ্গলবার বিকালে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে প্রথম স্ত্রীর বাসায় আসেন কবির তালুকদার। রাতে খাবার খেয়ে দুইজনে ঘুমাতে যান। এক পর্যায়ে রাত আনুমানিক ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে কবির ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর রাত দুটার দিকে তোয়ালে পেঁচিয়ে পাশের বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় হাজির হয় কবির।
সদর থানার ওসি আখতার মোর্শেদ জানান, বরিশালে চিকিৎসা নিচ্ছেন কবির তালুকদার। স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।