অষ্টম দিনের মতো চলছে ইসরায়েল হামাস পাল্টাপাল্টি হামলা। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রায় দুইশো লোকের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে ইসরায়েলে মৃত্যু হয়েছে দশ জনের। দুই পক্ষেই হামলা জোরদার করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হোম ফ্রন্টের কমান্ডার মেজর জেনারেল ওরি গরডিন বলেছেন, ইসরায়েল এর আগে হামাসের এত সংখ্যক রকেট মোকাবিলা করেনি।
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে গরডিন বলেন, গত কয়েকদিনে গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে প্রায় তিন হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে। এর আগে ২০১৯ সালের সংঘর্ষে গাজা থেকে এত বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়নি এবং ২০০৬ সালের সংঘর্ষে লেবাননের হিজবুল্লাহও এত বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি। খবর স্ট্রেইট টাইমসের।
এসময় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা শক্তিশালী হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন ইসরায়েলে এই শীর্ষস্থানীয় জেনারেল। তিনি বলেন, ইসরায়েল গাজার বিরুদ্ধে চলমান সংঘর্ষে এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক রকেট হামলার শিকার হয়েছে।
গরডিন একটি গ্রাফিক দেখিয়ে বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে তিন দিনের সংঘাতে গাজাভিত্তিক ইসলামি জিহাদ আন্দোলন ৫৭০টি রকেট নিক্ষেপ করেছিল। এছাড়া, ২০০৬ সালে লেবাননের হিজবুল্লাহ ১৯ দিনে ইসরাইলের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে মোট ৪,৫০০ রকেট ছুড়েছিল। ইসরায়েলি এই জেনারেল বলেন, দিনের হিসাবে গড়ে বর্তমান সংঘর্ষে সর্বাধিক রকেট নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনিরা।
গাজা উপত্যকার উপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত আগ্রাসনের প্রতিবাদে হামাস ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ১৯২ জন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। অপরদিকে দশ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।