জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য টিকা ও ওষুধ প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি মডার্নার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) এই অনুমোন দেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
এতে বলা হয়, ডব্লিউএইচও-র টিকা বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের ‘কৌশলগত উপদেষ্টা প্যানেল’ মডার্নার আবিষ্কৃত করোনা টিকাটির যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণ ও পরীক্ষা করেছে। তাতে দেখা গেছে, ভাইরাসটির বিরুদ্ধে ৯৪ দশমিক ১০ ভাগ প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম মডার্নার করোনা টিকা।
ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। জনস্বাস্থ্য ও জীবানু বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মত, অত্যাধিক সংক্রমণ কবলিত দেশগুলো করোনার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউ পার করছে।
জানা যায়, এই নিয়ে মোট ৫টি করোনা টিকা জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মডার্নার আগেও জাতিসংঘের এই সংস্থাটি থেকে অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলো হলো— ফাইজার-বায়োএনটেক, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনা টিকা কোভিশিল্ড ও জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের করোনা টিকা।
গত ৬ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শাখা সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) ইউরোপের দেশগুলোকে এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
ডব্লিউএইচও কর্তৃক টিকা অনুমোদন পাওয়ার পর তা স্বাগত জানিয়েছে মডার্না। শুক্রবার এক বিবৃতিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২২ সালের মধ্যে ৩০০ কোটি ডোজ করোনা টিকা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছে মডার্না। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্টের কারখানাগুলোতে প্রস্তুত করা হবে টিকার এসব ডোজ।