আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটের চালের বাজারে আগুন। নেই সরকারি কোন নজরদারি,নিজের ইচ্ছেমত দামে চাল বেচা কেনা করতে দেখা যায়। বাজারে চালের কোন সংকট না থাকলেও বিক্রি হচ্ছে চওড়া দামে। সিলেটের চাল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সিলেটের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানী সহ চালের মোকাম খ্যাত নওগাঁ, নাটোর,দিনাজপুর,কুষ্টিয়া ও জয়পুরহাটে আড়তে দাম বড়লে তার প্রভাব সারা দেশ সহ সিলেটে পড়ে। তারা উল্লেখ্য করেন, কমিশনের বিনিময়ে সিলেটের চাল ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন। চালের দাম বাড়লে তাদের কোন লাভ নেই।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত সপ্তাহে লকডাউন ঘোষণায় চালের বিক্রিতে চাপ বেড়েছে। হুট করে বাড়তি চাহিদা দেখা দেয় সিলেটে। এ সময় নানা মুখী গুজব ও ছড়ায় চারদিকে। তাই তারাও বাড়তি দামে চাল ক্রয় করতে হয়েছে। বিক্রি ও করছেন বেশি দামে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সিলেটের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায়, দাম বাড়ার এই তালিকায় রয়েছে মাঝারি মানের পাইজাম, লতা ও মোটাচাল। এখন মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, যার আগে দাম ছিল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে বর্তমান বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যার আগের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫২ টাকা। মিনিকেট ও নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। বিধিনিষেধ ঘোষণার আগে ছিল ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা কেজি।
টিসিবির তথ্যমতে,বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। যদিও এই দরে দেশের কোথাও নাজিরশাইল বা মিনিকেট চালা পাওয়া যায় না। টিসিবি বলছে, এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম ২ দশমিক শূণ্য ৮ শতাংশ বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫২ টাকা দরে। মাঝারি মানের চাল ১ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৬০ টাকায়।
এদিকে লকডাউন অপর দিকে রমজান মাস থাকায় সাধারণ মানুষের উপর চাপ বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে মধ্যত্তরা ও নি¤œ আয়ের মানুষেরা।
খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শর্তে দেখা যায় বেসরকারি পর্যায়ে ৩২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানি অনুমুতি দিয়েছে। যা দেশের বাজারে প্রবেশের প্রক্রিয়ায় আছে। তবে চালের বাজারে এই মুহুর্তে কোন সংকট নেই । তারপর নানা অজুহাত দেখিয়ে সিলেটের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে চালের বাজারে।