রাজু আহম্মেদঃ- সম্প্রতি গত রমজানের শেষ দিকে হঠাৎ করণা উপসর্গ নিয়ে রামগঞ্জে একটি মৃত্যু ব্যক্তির লাশ দাফন করতে গিয়েছিলাম। তুমূল বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে ওই লাশটি তার নিজের স্বামীর বাড়ি থেকে এনে, বাপের বাড়িতে ধোয়ানোর ব্যবস্থা করে দাফনের কাজ শেষ করলাম।
এর মধ্যে দিয়ে চলছে বৃষ্টি সারা শরীরে কাদা ভর্তি অবস্থায়, তখন পাশের বাড়ির পুকুরে হাতমুখ ধোয়া নিয়ে সবাই যখন ব্যস্ত, তখন হঠাৎ করে মাক্স খোলার পর পাশের ঘরের একটি মেয়ে এসে বলল ভাইয়া আপনাদের সকলকে তো চিনি।
সবাই লক্ষীপুরের মানুষ, কি ভাগ্য আমাদের, শেষ পর্যন্ত আপনারা সবাই এসেছেন আমাদের বাড়িতে আমার ফুপুর লাশ দাফন করতে। খুব কৌতুহল করে মেয়েটির মা এসে আমাদেরকে বলল বাবা তোমরা কেমন আছো? আমরা সবাই বললাম ভালো আছি হঠাৎ করে আমি ফাহাদকে জিজ্ঞাসা করলাম ওকে তো চিনি মনে হয়, ফাহাদ পরিচয় দিল মেয়েটি নাম সামসুর নাহার শান্তা, আমাদের টিআইবির ইয়েস লিডার ছিলেন, খুব ভালো লেখালেখি করে এবং তার পরিবারসহ সবাই মিলে আমাদেরকে ধরল দুপুরের খাওয়াটা খাওয়ার জন্য। আমরা সকলে বললাম এমুহূর্তে কোথাও কোন বাড়িতে খাই না। তারা খুব জোর করে ধরল খাওয়ার জন্য। পরে সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম ঠিক আছে আমরা খাবো, তারা খুব তড়িঘড়ি করে অনেক ধরনের খাবার আমাদের সামনে নিয়ে আসলো আমরা অবাক হয়ে গেলাম যে অল্প সময়ের মধ্যে তারা এতগুলো খাবার আয়োজন করেছে আমাদের মধ্যে ফাহাদ, রিয়াদ, রাজান মোল্লা বেশ মজা করে লেবু খাচ্ছিল বারবার শান্তাকে বলছে আর লেবু থাকলে দেওয়ার জন্য,সে লেবু আনতে গিয়ে হাতটিও কেটে ফেলল। পরে তারা অনেক মজা করে সকলে মিলে অনেক ধরনের কথা বলো। আসলেই বলতে গেলে তারা খুব ভালো মনের মানুষ ছিল। পুরো পরিবারটা হাসিখুশি এবং সকলেই খুব অতিথি পরায়ণ মানুষ ছিল। হঠাৎ যখন গতকাল ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় শুনতে পেলাম শান্তা মারা গিয়েছে, আমাদের অনেকেরই বিশ্বাস হচ্ছে না। খুব বারবার মনে পড়ছে সেই দিনের কথা মানুষের মৃত্যু যে খুব কাছে তা কখনোই কল্পনা করা যায় না। সকলে শান্তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। এবং পরকালে আল্লাহ যেন তোমাকে জান্নাত নসিব করে সে দোয়াই করি। আমরা সকলেই জীবন চলার পথে অবশ্যই ভালো কিছু করে যাব, যেটি সব সময় আমাদের কথা বারবার স্মরণ করবে। “সতর্ক হই, মাক্স পড়ি ও সকলকে সচেতন করার চেষ্টা করি”- জনসার্থে rajjo.