মহিপুর -কলাপাড়া প্রতিনিধি :
কিছুদিন আগে পটুয়াখালীর মহিপুর থানাধীন ডালবুগঞ্জের ফরিদা বেগমের দূক্ষ দুর্দশার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে এবং সেই বিষয়টি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোঃ শহীদুল হকের নজরে আসে।
এবং তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য প্রদত্ত ঘড় থেকে তাকে একটি ঘড় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। ফলস্বরূপ গত ১লা এপ্রিল তার ঘড়ের কাজ শুরু হয় এবং বর্তমানে কাজ শেষের পথে।
৩ সন্তান কে নিয়ে ফরিদা বেগমের এখন আর অন্যের ঘরে বা ঝুপড়ি ঘড়ে থাকতে হবে না।
ভূমিহীন ও গৃহহীন হতদরিদ্র ফরিদা বেগম বেগম এখন সন্তানদের নিয়ে থাকতে পারবেন নিজ ঘরে।
শুধু ঘরই নয়, থাকছে নিজ নামে দুই শতক জমি, সুন্দর বসবাসের নিরাপদ সুবিধা।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের বিনা টাকায় ঘর উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের মধ্যে নতুন ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে।
নতুন ঘর পাওয়া ভূমিহীন ও গৃহহীন ফরিদা বেগমের চোখে মুখে এখন অনাবিল স্বপ্ন।
বাড়ি পাওয়ার আনন্দে পটুয়াখালীর মহিপুরের ডালবুগঞ্জ এলাকার ভূমিহীন ফরিদা বেগমের চোখে ডেকেছে আন্দ অশ্রুর বান। ঘর পেয়ে কেমন লাগছে, জিজ্ঞেস করায় ফরিদা বলেন, ‘আমি ছোট ছোট ৩ ছেলে মেয়ে নিয়ে মানুষের জায়গায় কুঁড়েঘর তুলে থাকি। স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে, আমি জমিসহ ইটের একখানা নতুন ঘর পাবো। শেখ হাসিনার সরকার আমাকে ইটের ঘর দিবেন। এই বয়সে ইটের ঘরে থাকতে পারবো। আমি ভীষণ খুশি হয়েছি ঘর পেয়ে। দোয়া করি শেখ মুজিবের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।’
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মো:শহীদুল হক বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরে আশ্রয়া পাওয়াদের অধিকাংশই রাস্তার ধারে ফুটপাত বা কারও আশ্রয়ে বসবাস করতেন। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পেলেন। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার শতভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাদের জমি ও ঘর নাই, তাদের বসবাসের জন্য বাড়ি করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।