মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ দেশজুড়ে গণবিক্ষোভের ঘোষণা দেয়ার পর বিভিন্ন হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দখলে নিয়েছেন সেনা সদস্যরা।
দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রবিবার রাতভর বড় বড় শহরে অভিযান চালিয়েছে সেনারা। সোমবার সকাল নাগাদ হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে ঢুকে পড়ে তারা।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, আহত কর্মীরা যেন চিকিৎসা না পান, সেই টার্গেটে বড় বড় হাসপাতালের দখল নিয়েছে সেনারা।
১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। এরপর শুরু হয় দমন-নিপীড়ন। এখন পর্যন্ত সেখানে অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
অভ্যুত্থানের পর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাজধানী নেপিডোতে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভকালে গুলিতে আহত হন ২০ বছরের এক তরুণী। তিনি নেপিডোর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
২০ ফেব্রুয়ারি একদিনে মারা যান দুজন। একটি শিপইয়ার্ডের কর্মীদের সেনাবিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ গুলি চালালে ওই দুজন প্রাণ হারান।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১ মার্চ একদিনে মারা যান ১৮ জন। ৩ মার্চ প্রাণ হারান আরও ৩৮ জন!