মিয়ানমারের সেনাশাসকদের সমর্থন দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে চীন বলেছে, দেশটির সব পক্ষের সঙ্গে তারা আলোচনায় বসতে চায়।
চীনের শীর্ষস্থানীয় কূটনৈতিক এবং স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই রবিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের ইচ্ছার সম্মানে চীন সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক।’
পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারে সামরিক শাসনের তীব্র নিন্দা জানালেও চীনের প্রতিক্রিয়া ছিল সতর্ক। দেশটি মিয়ানমারের স্থিতিশীলতার গুরুত্বে জোর দিয়েছে।
চীনা কূটনীতিক আরও বলেন, মিয়ানমারের সব দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে চীনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
‘মিয়ানমারের পরিস্থিতির যতই বদল হোক না কেন চীন-মিয়ানমার সম্পর্কের অবনতি হবে না। এই সম্পর্কে চীনের সহযোগিতা পরিবর্তন হবে না।’
১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। এরপর শুরু হয় দমন-নিপীড়ন। এখন পর্যন্ত সেখানে অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
অভ্যুত্থানের পর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাজধানী নেপিডোতে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভকালে গুলিতে আহত হন ২০ বছরের এক তরুণী। তিনি নেপিডোর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
২০ ফেব্রুয়ারি একদিনে মারা যান দুজন। একটি শিপইয়ার্ডের কর্মীদের সেনাবিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ গুলি চালালে ওই দুজন প্রাণ হারান।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১ মার্চ একদিনে মারা যান ১৮ জন। ৩ মার্চ প্রাণ হারান আরও ৩৮ জন!