আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটের সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কাজে বাধা,অবৈধ স্ট্যান্ড দিয়ে ফুটপাত দখর সিলেট নগরীর ব্যস্ততম রাস্তা চোহাট্টা থেকে আম্বরখানায় অভিযান উচ্ছেদে ১৭ ফেব্রুয়ারি চৌহাট্টায় পুলিশ, সিলেট সিটি কর্মচারী ও শ্রমিকদের সংর্ঘষে রণক্ষেত্রে প্রেক্ষিতে মামলা পত্যাহরের প্রতিবাদে সিলেট নগর ভবনে সমঝোতা সভার সিন্ধান্ত মানলেন না শ্রমিক নেতারা। ২১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সব শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের আহ্বান জানিয়ে ছিলেন কথায় কথায় সিলেটে যেন ধর্মঘটের ডাক না দেয়া হয়। এই সভার ১৩ দিনের মাথায় নিজেদের পুরনো চেহারায়ই আবির্ভাব হলেন শ্রমিক নেতারা। ফের দিয়েছেন ধর্মঘটের ডাক।
সিলেটের চৌহাট্টায় অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে পরিবহন শ্রমিক-সিসিক-পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত ৩টি মামলা প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবি মানা না হলে আগামী ১৪ মার্চ সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট জেলায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করবেন।
শনিবার (৬ মার্চ) বেলা ২টায় হুমায়ুন রশিদ চত্বরে মানববন্ধন করে এ ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস- কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চৌহাট্টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিনা নোটিশে স্ট্যান্ড উচ্ছেদের নামে লোকজন নিয়ে হামলা করে আমাদের শ্রমিকদের অনেক গাড়ি ভাঙচুর করেন ও আমাদের ওপর হামলা করেন। আমরা বাঁচার তাগিদে তাৎক্ষণিক দক্ষিণ সুরমায় সড়ক অবরোধ করে ছিলাম। কিন্তু পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফের দেওয়া আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা অবরোধ তুলে নেই। কিন্তু পরবর্তীতে সিসিকের মামলা গ্রহণ করা হলেও আমাদের মামলা গ্রহণ করেনি পুলিশ। তারপরও গত ২১ তারিখে আমরা সিটি কর্পোরেশনে বৈঠকে বসি। সেখানে আমাদের গাড়ির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এবং আমাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস প্রদান করা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত সিসিকস মেয়র ও পুলিশ কমিশনার এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি। যার কারণে আমরা আবারও রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।
মেয়র আরিফ ও পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফের উদ্দেশে মানববন্ধনে এ শ্রমিক নেতা বলেন, আপনারা আমাদের বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করুন। না কি আপনারা আমাদের সঙ্গে লাগার চেষ্টা করছেন? এমন যদি করেন, তবে আমরা পরিবহন শ্রমিকরা রাজপথে পড়ে থাকব, রাজপথ ছেড়ে যাব না। আগামী ১৩ মার্চ রাতের মধ্যে আপনারা এ বিষয়টি যদি সমাধান না করেন, তবে ১৪ মার্চ সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট জেলায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করবে।