মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্তকারী দেশটির ওপর বৈশ্বিকভাবে কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদের কাছে।
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি প্রতিবেদনে থমাস অ্যান্ড্রুজ বৃহস্পতিবার বলেন, মিয়ানমারের ওপর এখন বৈশ্বিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সেনাশাসকদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জরুরি।
মিয়ানমারের লভ্যাংশের সবচেয়ে বড় উৎস তেল এবং গ্যাস এন্টারপ্রাইজ। থমাস দেশগুলোকে এই খাতেও নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবিসি লিখেছে, জাতিসংঘের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে শুক্রবার এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। এরপর শুরু হয় দমন-নিপীড়ন। এখন পর্যন্ত সেখানে অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
অভ্যুত্থানের পর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাজধানী নেপিডোতে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভকালে গুলিতে আহত হন ২০ বছরের এক তরুণী। তিনি নেপিডোর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
২০ ফেব্রুয়ারি একদিনে মারা যান দুজন। একটি শিপইয়ার্ডের কর্মীদের সেনাবিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ গুলি চালালে ওই দুজন প্রাণ হারান।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১ মার্চ একদিনে মারা যান ১৮ জন। ৩ মার্চ প্রাণ হারান আরও ৩৮ জন!