নরসিংদীর রায়পুরায় পরকীয়া জের, স্বামীকে হত্যা পরিকল্পনা সহ স্বামীর ঘরে আসবাবপত্র ভাংচুর করে নিজেকে নিজে রক্তাক্ত করে স্বামীকে ফাঁসানোর চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রায়পুরা বাস-স্ট্যান্ডে ভুক্তভোগী মহসিনের পিতা হাজী আঃ বারিক ভূইয়া ওরফে শিশু মাস্টার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলার অলিপুরা ইউনিয়নের ফিরোজ ওরফে শান্তি মিয়ার মেয়ে তামান্নার সাথে প্রায়১২ বছর আগে বিয়ে হয় মহসিনের। বিয়ের পর থেকে ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এই ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের ৩ কন্যা সন্তান জন্ম হয়। মোবাইল কথোপকথনের মাধ্যমে জানতে পারি তামান্না তার দুলাভাই মোফাজ্জল মিয়ার সাথে পরকিয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পরে।
তামান্নার দুলাভাইয়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার বেশ কয়েকটি অডিও রেকর্ড আমরা তামান্নার মোবাইল থেকে সংগ্রহ করি। এর মধ্যে একটি ফোন রেকর্ডে আমার ছেলে মহসিনকে কতিপয় সন্ত্রাস বাহিনীর দ্বারা ১০ লক্ষ টাকার কন্ট্রাক্ট এর মাধ্যমে মেরে ফেলার পরিকল্পনার কথা শুনতে পায়। তাৎক্ষনিক আমরা আমার ছেলের নিরাপত্তার জন্য উক্ত ফোন রেকর্ডটি রায়পুরা থানায় প্রেরণ করি। পরে রায়পুরা থানার পুলিশ ও এলাকাবাসীরা সম্মিলিতভাবে তামান্নাকে স্বামীর সাথে সংসারের মিল করে দেন। তাদের মিলানোর পর থেকে স্ত্রী তামান্না আমার ছেলের কাছ থেকে কৌশলে ফোন রেকর্ডগুলো নিজের কব্জায় নেওয়ার জন্য চেষ্টা করতে থাকে এবং সেগুলোকে নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। আমার পুত্রবধূ তামান্না আমার ছেলে মহসিনকে ফাঁসানোর জন্য সে নিজের শরীরে নিজেই আঘাত করে এবং আমার ছেলের ঘরের আসবাব পত্র ভাংচুর করে তাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। উক্ত ঘটনার সময় আমার ছেলে মহসিন রায়পুরা বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিল বলে জানিয়েছেন তার পিতা।
তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপরোক্ত ঘটনাটির সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।