‘রাস্তায় নামলে প্রাণের দায়িত্ব কেউ নেবে না’-সেনাবাহিনীর এমন হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে সোমবারও মিয়ানমারের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
তিন সপ্তাহ হয়ে গেছে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়েছে। বন্দী করা হয়েছে অং সান সু চি-সহ একাধিক নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক কর্মীকে। তারই প্রতিবাদে দেশ জুড়ে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। প্রতিবাদের নেতৃত্বে যুবসমাজ।
তাদের দাবি, যে প্রক্রিয়ায় সেনা বিদ্রোহ করে ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়েছে, তা গণতান্ত্রিক নয়। ফলে অবিলম্বে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মুক্তি দিতে হবে এবং পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
স্বাভাবিক ভাবেই সেনা এই বক্তব্য মেনে নিতে রাজি নয়। গোটা দেশে বিক্ষোভের উপর সহিংস আক্রমণ চালাচ্ছে তারা। কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, লাঠির পাশাপাশি রবার বুলেট এবং সত্যিকারের গুলি ছোড়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনজন মারা গেছেন।
বিবিসি লিখেছে, ‘সোমবার বিক্ষোভকারীরা মিছিল থেকে বলেছেন প্রাণ যায় যাক, তবু রাস্তা ছাড়া হবে না।’
রবিবার জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি জারি করে ফের মিয়ানমারের সেনাকে বলেছে, সহিংসতা বন্ধ করে তারা যেন আলোচনার রাস্তায় আসে। গণতান্ত্রিক ভাবে যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও একই আবেদন জানানো হয়েছে।