মহিবুল ইসলাম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী মহানগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার ৮ নম্বর সড়কের একটি বহুতল ভবনে কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকেন পাপিয়া সুলতানা পপি (৩২)।
পপির মেয়েকে বাসায় প্রাইভেট পড়াতেন বারিন্দ মেডিকেল কলেজ থেকে সদ্য পড়াশোনা করা এক যুবক। পপি ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে তাকে ভুয়া বিয়ে করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে। পপি ছেলেটিকে ডেকে পাঠান এই বলে যে, তিনি অসুস্থ। পপি তাকে ওষুধ আর ডাব নিয়ে ডাকেন। ছেলেটি সেসব নিয়ে যান। কিন্তু এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ৫ থেক ৬ জন যুবক বাড়িতে হাজির হয়ে ছেলেটিকে জেরা শুরু করেন।
তাদের দাবি পাপিয়ার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে। একপর্যায়ে ওই যুবককে জিম্মি করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে নেয় তারা।
একই সাথে একজন কথিত কাজি কাবিননামার কাগজেও স্বাক্ষর নিয়ে নেন ছেলেটির। এরপর সেই যুবকেরা বাড়ি থেকে বেড় হয়ে যান। সবাই চলে গেলে পপি ওই যুবককে জানান, তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। দেনমোহর হয়েছে ২০ লাখ টাকা। এরপর সেখান থেকে ফিরে গিয়ে ওই যুবক তার স্থানীয় অভিভাবকদের বিষয়টি জানান।
সকলের পরামর্শ মতো বৃহস্পতিবার পপি বিরুদ্ধে চন্দ্রিমা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। ওই দিনই পপি ও কথিক কাজি শাকিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গেছে, শাকিলের বাড়ি নগরীর শাহমখদুম এলাকায়।
স্থানীয়দের দাবি, পপি ৩ থেকে ৪ বছর ধরে পদ্মা আবাসিক এলাকা ভাড়া আছেন। সেই বাড়িতে তিনি অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসছেন। তাদের রয়েছে একটি সিন্ডিকেট। তারা বিভিন্ন সময় এভাবেই বিভিন্ন বয়সের যুবকে যৌনতার ফাঁদে ফেলে বা সুসম্পর্ক করে বাড়িতে ডেকে জিম্মি করে তাদের অর্থ হাতিয়ে নেন।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি জানান, তিনি ওই বাড়িতে ৫ বছর আগে ভাড়া ছিলেন। বাড়িটির দুইতলায় ইংলিশ মিডিয়ামের এক ছাত্রী এবং অভিযুক্ত পপির মেয়ে নাসরিনকে প্রাইভেট পড়ান। ঘটনার দিন অসুস্থতার নাম করে তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেন পপি। পুরো ঘটনাই ছিলো তার সাজানো।
৫ থেকে ৬ জন যুবক সবাই ছিলেন পপির পূর্ব পরিচিত। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারণার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আর বিয়েটা আসল নয়। ভুয়া বিয়ে করে টাকা আদায়ের জন্যই এ ধরনের কাজ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।