ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানসহ রাষ্ট্রদূতদের একটি গ্রুপ জম্মু ও কাশ্মীরের সরেজমিন পরিস্থিতি এবং ভারত সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মূল্যায়নে ওই এলাকায় দুই দিনের সফরে রয়েছেন।
ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর ২৪ জনের বেশি রাষ্ট্রদূতদের তৃতীয় দলটি বুধবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরে পৌঁছান। এর আগে গত বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রদূতদের দুইটি দল জম্মু ও কাশ্মীর সফর করেছেন।
দুই দিনের সফরকালে রাষ্ট্রদূতেরা ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ববর্তী বিশেষ মর্যাদা রহিত করার পর স্থানীয় সরকার গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে সরাসরি তথ্য গ্রহণ করবেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়, এই সফরের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং রাষ্ট্রদূতদের গ্রুপটি সেখানে পৌঁছানোর পরপরই স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য শ্রীনগরের উপকণ্ঠে বাদগাম জেলার মাগামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।
শ্রীনগর জুড়েই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, বিশেষ করে এসকেআইসিসি (শের-ই কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার) ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেখানে কূটনীতিকরা বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিত করবেন।
বিকেলে কূটনীতিকরা ডাল লেকের তীরে এসকেআইসিসি-তে বিভিন্ন গ্রুপ ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং হযরত বাল মাজার পরিদর্শন করেন। কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এমন রাজনীতিবিদদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নভেম্বর-ডিসেম্বরের নির্বাচনে জেলা উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচিতরা রয়েছেন। কাশ্মীর উপত্যকায় আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত সিনিয়র কর্মকর্তারা নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিত করবেন।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছাড়াও চিলি, ব্রাজিল, কিউবা, বলিভিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, স্পেন, সুইডেন, ইতালি, মালাউই, ইরিত্রিয়া, কোট ডি’ ভায়ার, ঘানা, সেনেগাল, মালয়েশিয়া, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কূটনীতিকরা এই সফরে রয়েছেন।