মিয়ানমারে এক অভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চি। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন সেনাবাহিনীর সাবেক এক জেনারেল। তিনি এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
এদিকে সু চি জনগণকে এই সেনা অভ্যুত্থান মেনে না নিয়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি-এনএলডি পার্টি এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
বলা হয়, ‘সামরিক বাহিনীর এই পদক্ষেপ দেশকে আবারো স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেয়ার পদক্ষেপ।’
বিবৃতিতে এনএলডি নেতা অং সান সু চির নাম উল্লেখ করে বলা হয়, ‘আমি জনগণকে এটি মেনে না নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং আন্তরিকভাবে এই সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তবে ইয়াঙ্গুনে সেনা অভ্যুত্থানের সমর্থনে উল্লাস করেছে স্ব-ঘোষিত কিছু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর সদস্য। তারা সুয়েডাগন প্যাগোডার বাইরে শহীদদের সমাধিস্থলের কাছে গান গেয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছে।
বিবিসিকে এই উল্লাসকারীদের একজন জানান,উদ্যাপনের অংশ হিসেবে তারা শহরের অন্য স্থানগুলোতেও যাবে।
গত তিন দিন ধরে জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর সদস্যরা সামরিক বাহিনীর সমর্থনে ইয়াঙ্গুনের বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণই রয়েছে। এর পাল্টা কোনো বিক্ষোভ কিংবা অভ্যুত্থান বিরোধী কোনো বিক্ষোভ এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি।
এদিকে জাপানের টোকিওতে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির সামনে সু চির পক্ষে বিক্ষোভ করেছে মিয়ানমারের একদল অধিকারকর্মী।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সু চিসহ জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতাদের সামরিক বাহিনী আটক করার পর এই বিক্ষোভ হলো।
এদিকে জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি কাসুনোবু কাটো বলেছেন, ‘জাপান বিশ্বাস করে যে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের সমস্যার সমাধান করা উচিত।’