অবশেষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিনন্দন জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। প্রথম ফোনালাপে বাইডেন ইঙ্গিত দেন, রাশিয়া নীতিতে তিনি কঠোর হবেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে এ ফোনালাপ হয়।
ফোনালাপে রাশিয়ায় চলমান পুতিনবিরোধী বিদ্রোহ এবং যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মধ্যকার একমাত্র অবশিষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে কথা হয়।
রাশিয়ার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দুই পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তারা যোগাযোগ রক্ষা করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমালোচনা ছিল তিনি পুতিনের বিষয়ে যথেষ্ট কঠোর ছিলেন না। একই অভিযোগ আছে বারাক ওবামা প্রশাসন নিয়ে, সেসময় ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বাইডেন।
তবে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন পরিষ্কার করেছেন যে, রাশিয়ার যেসব পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রকে বা তার মিত্রদের ক্ষতি করে, সেসব পদক্ষেপের বিপক্ষে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে যুক্তরাষ্ট্র শক্ত পদক্ষেপ নেবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয় যে, দুই প্রেসিডেন্ট ‘সোলার উইন্ডস’ সাইবার হামলা, অ্যালেক্সেই নাভালনিকে বিষপ্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন।
এ ছাড়া আমেরিকার নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ব্যাপারেও সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে ফোনালাপ বিষয়ে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যকার উষ্ণ কথাবার্তার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প যতটুকু শক্ত ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর, তিনি তার চেয়ে বেশি কঠোর থাকবেন।
দুই নেতার ফোনালাপ সংক্রান্ত খবরে বলা হচ্ছে, রাশিয়া যে ২০২০ ও ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে, বাইডেন এই বিষয়টি জানেন বলে পুতিনকে জানিয়েছেন।
এ ছাড়া সাইবার ষড়যন্ত্র বা কোনো ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলেও পুতিনকে জানিয়েছেন তিনি।
বাইডেন এবং তার পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক দল ইউরোপ সম্পর্কে পুতিনের অভিসন্ধি এবং মানবাধিকার ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নেবে।
তবে তারা কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব চায় না, বরং সম্পর্ক বজায় রাখা এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখার মনোভাব জ্ঞাপন করেছে।