ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসন করতে সম্মিলিত আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির রাজনীতিবিদেরা। এর আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেলের দিকে।
বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ভোট হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস-এর হুইপ জেমস ক্লাইবার্ন।
যদিও জানুয়ারির ২০ তারিখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার শেষ দিন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তারা উন্মত্ত জনতাকে ‘অভ্যুত্থানে প্ররোচনা’ দেয়ার অভিযোগ আনার পরিকল্পনা করছেন।
যদি অভিশংসন প্রক্রিয়া পরিকল্পনা মাফিক এগোয় তাহলে ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দুইবার অভিশংসনের মুখে পড়া একমাত্র প্রেসিডেন্ট।
সেজন্য অভিশংসন অভিযোগ হাউজে ভোটে পাস হতে হবে।
তারপর বিষয়টি সিনেটে যাবে যেখানে প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করতে দুই তৃতীয়াংশ ভোট দরকার হবে।
শুধু ডেমোক্র্যাট নয় এমনকি রিপাবলিকানদের অনেকেই তার বিরুদ্ধে সেদিন সমর্থকদের উসকে দেয়ার অভিযোগ করছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে রবিবার হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার ট্রাম্প টেক্সাসে যাবেন মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তে যে দেয়াল তোলা হচ্ছে তার কাজ পরিদর্শন করতে।
তার প্রশাসন কি কাজ করেছে সেটি তুলে ধরতে চান তিনি।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে অভিশংসনের উদ্যোগকে রাজনৈতিক চাল বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এতে দেশের মধ্যে বিভাজন আরও বৃদ্ধি পাবে।
রিপাবলিকান সিনেটর প্যাট টুমি ট্রাম্পের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় দেশের জন্য এখন সবচেয়ে ভালো হবে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প পদত্যাগ করে দ্রুত বিদায় নেন। না হলে আমরা সম্মিলিত আক্রমণের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’