ব্রিটেনের ছয়টি হাসপাতাল দিয়ে শুরু হচ্ছে অক্সফোর্ডের টিকার ব্যবহার। সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল নাগাদ টিকাটির ৫ লাখ ৩০ হাজার ডোজ সরবরাহ শুরু হবে।
বিবিসি জানিয়েছে, ধীরে ধীরে ডোজের সংখ্যা বাড়বে। কয়েক মাসের মধ্যে লাখ-লাখ মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে দেশটির সরকার।
টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এটাই আসল মুহূর্ত। আশা করছি, এই টিকার মাধ্যমে মহামারী প্রতিরোধ করে সবাই সুস্থ থাকবেন।’
ব্রিটেন প্রথম দেশ হিসেবে গত মাসে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয়। প্রায় ১০ লাখ মানুষ এখন পর্যন্ত এই টিকা নিয়েছেন।
কিন্তু সবার চোখ ছিল অক্সফোর্ডের টিকার দিকে। কারণ টিকাটির দাম কম, সহজে বহনযোগ্য এবং সংরক্ষণযোগ্য।
ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ করতে যেখানে আল্ট্রা ফ্রিজের দরকার পড়ে, সেখানে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রাখতে ‘উপযুক্ত সাধারণ’ ফ্রিজ হলে চলে।
দ্রুত সময়ে করোনার টিকাগুলোর উন্নয়ন এবং অনুমোদন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। তবে প্রাপ্যতা, কার্যকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এখনো প্রশ্ন আছে।
একটি নতুন রোগের ভ্যাকসিন উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণে অন্তত ১০ বছর লাগে। কিন্তু কভিড-১৯ টিকার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দ্রুত টিকা পাওয়া গেল।