ইবি প্রতিনিধি-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক এলাকায় বাগান পরিচর্যার সময় এক শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এমএম নাসিমুজ্জামান। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন।
শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে আবাসিক এলাকা মেঘনা ভবনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় একই ভবনে বসবাসরত মেঘনা ভবনের পিছনে এমএম নাসিমুজ্জামান পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে। এসময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় শিক্ষক নাসিমুজ্জামান লাঠি হাতে তেড়ে এসে শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে বলেন, ‘তোকে আমি আজকে মাথা ফাটিয়ে খুন করে ফেলবো, তোর কোন বাবা আছে ডাক, আজকে তোকে মেরেই ফেলবো।’
আপনিও লিখতে পারেন আমাদের ক্যাম্পাস, শিক্ষা পরিবার, সাহিত্য ও মতামত পাতায় । আাপনার লেখার মাধ্যমে দেশ ও জাতি সমৃদ্ধ হোক।
আপনার লেখা পাঠাতে আমাদের ইমেল করুন editor@apsnews24.com এই ঠিকানায়।
লেখার সাথে আপনার পরিচয়, ফোন নাম্বার ও ছবি দিবেন। প্রয়োজনে ফোনও করতে পারেন।
01517856010
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পদ্মা ভবনের পাশে সবজি বাগান পরিচর্যার কাজ করছিলেন আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন। এসময় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসিমুজ্জামান তাকে পাশের ভবন থেকে গালিগালাজ করেন।
একপর্যায়ে দ্বিতীয় তলা থেকে নেমে শিক্ষক আলতাফের উদ্দেশ্যে লাঠি হাতে মারতে তেড়ে আসেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে প্রাণনাশের হুমকি দেন। ঘটনাস্থলে থাকা অন্যান্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে শিক্ষক আলতাফ হোসেন শুক্রবার বিকেলে জীবনের নিরাপত্তা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
শিক্ষক নাসিমুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক এলাকায় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মাঝে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু শিক্ষক আলতাফ হোসেন তার একাজের প্রশ্রয় না দেওয়ায় মনক্ষুন্ন ছিলেন শিক্ষক নাসিম। এসব ঘটনার জের ধরে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শিক্ষক আলতাফ হোসেনর উপর চড়াও হয়ে লাঠি হাতে মারতে উদ্যত হন তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর ভগ্নিপতি ও বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড. জাকারিয়া রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যাম্পাসে ও আবাসিক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে আলতাফ হোসেন বলেন, ‘তিনি এর আগেও আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেন। আমি সম্মানার্থে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। আজ তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ও মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। থানায় জিডি করেছি। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানচ্ছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক নাসিমুজ্জামানের কাছে জাননে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষক জিডি করেছেন। আমরা কোর্টে পাঠাবো। কোর্ট অনুমুতি দিলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।’
ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা৷ প্রক্টরের সাথে কথা বলেছি আমি। তিনি আগামীকাল বিষয়টি নিয়ে বসবেন।’