এক দিনের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরেক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসা থেকে তৌহিদুল ইসলাম সিয়াম নামে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পরিবারের সদস্য ও সহপাঠীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে সিয়ামের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি নিহতের পরিবার। এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টারের নিজ কক্ষ থেকে ঢাবি শিক্ষার্থী রুমানা ইয়াসমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়।
জানা গেছে, সিয়াম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক এই শিক্ষার্থীর বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হিজলা গ্রামে। আবদুল্লাহ বায়েজিদ তপু নামে নিহতের সহপাঠী বলেন, ‘সিয়াম খুবই শান্তশিষ্ট ছিল। আত্মহত্যা করবে তা কোনোভাবেই আমরা বুঝতে পারিনি। গত রাতে তাকে ফেসবুকে একটিভ দেখেছি আর আজ ভোরে সে আত্মহত্যা করেছে।’ তিনি আরো বলেন, সকালে ঘুম থেকে না উঠায় দুপুরের দিকে সিয়ামের মা রুমে নক করলে না খোলায় পরে দরজা ভেঙে দেখে সে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নিয়ামুল নাসের বলেন, ‘তার চাচার সাথে আমার কথা হয়েছে। ছেলেটা অনেক মেধাবী। কী কারণে আত্মহত্যা করেছে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাইনি। সহপাঠী ও পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে তার আত্মহত্যার কারণ জানার চেষ্টা করছি। আমরা সবাই শোকাহত।’
ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তদন্তের মাধ্যমে হয়তো প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানতে পেরে সিয়ামের বাসায় গিয়েছি। তার এভাবে মৃত্যুর কারণ কেউ বলতে পারছেন না। তার বাবার কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই সিয়ামকে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে পারিবারিক কলহের জেরে শুক্রবার রাতে আত্মহত্যা করেন রুমানা। তিনি ঢাবির পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ৩৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে আনসার বাহিনীর সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রশিক্ষণরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়।