মেয়ের শ্বশুর চার্লস কুশনারসহ মোট ২৯ জনকে সাধারণ ক্ষমা করলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডেভেলপার ম্যাগনেট হিসেবে পরিচিত সিনিয়র কুশনার কর ফাঁকির মামলা এবং সাক্ষী প্রভাবিত করার অভিযোগে ২০০৪ সালে দুই বছরের সাজা পান।
তার ক্ষমার তালিকায় আছেন সাবেক ক্যাম্পেইন ম্যানেজার পল মেনাফোর্ট এবং সাবেক উপদেষ্টা রজার স্টোনও।
২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ান হস্তক্ষেপের অভিযোগের বিষয়ে অবগত থাকার কারণে ২০১৮ সালে অভিযুক্ত হন মেনাফোর্ট।
ট্রাম্প এর আগে স্টোনের কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে আনেন। কংগ্রেসের কাছে মিথ্যা বলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
ট্রাম্প এখন পর্যন্ত ২৯জনকে ক্ষমা করলেন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এর মধ্যে ২৬জন পূর্ণ ক্ষমা পাচ্ছেন। বাকি তিনজনের সাজার মেয়াদ কমবে।
এই ধরনের ক্ষমা সাধারণত ক্ষমতায় থাকার শেষদিনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টেরা। ট্রাম্প সেই পথে না হেঁটে আগেভাগেই করলেন।
ট্রাম্পের বেয়াই ২০০৬ সালে দুই বছরের সাজা শেষ করে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সামাজিক কাজে অবদান রাখছিলেন। নিজের দুলাভাইকে ফাঁসাতে তিনি যৌনকর্মী ভাড়া করেন। তারপর ভুয়া রেকর্ড পাঠান বোনের কাছে!
মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আছেন। এদিন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ গ্রহণ করবেন। ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত ট্রাম্প সংবিধানের ক্ষমতাবলে যেকোনো অপরাধীকে ক্ষমা করতে পারেন, দণ্ড মওকুফ করতে পারেন বা দণ্ড কমিয়ে আনতে পারেন। মার্কিন সংবিধান প্রেসিডেন্টকে এ ক্ষেত্রে অবাধ ক্ষমতা দিয়েছে।
ট্রাম্পের দৃষ্টি এখন ৬ জানুয়ারির দিকে। ইলেক্টোরাল কলেজ থেকে প্রাপ্ত ভোট কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে গ্রহণ করার সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে এদিনটিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এর আগে এসব সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতায় কখনো বড় ধরনের অঘটন ঘটেনি। এবারের পরিস্থিতি ট্রাম্পের কারণে সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে উঠেছে।