ব্রিটেনে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের এক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটির বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
এই নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এ নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগের পটভূমিতে গতকাল হঠাৎ করেই লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের বিরাট অংশ জুড়ে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়।
ব্রিটিশ গবেষকেরা লন্ডন এবং আশে-পাশের অঞ্চলে যে ভাইরাসের বিস্তার দেখছেন, সেটিকে তারা ‘নিউ ভ্যারিয়েন্ট’, অর্থাৎ নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাস বলে বর্ণনা করছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ভ্যারিয়েন্টটি আসল ভার্সনের চেয়েও দ্রুত ছড়ায়। তবে তুলনামূলক বেশি প্রাণঘাতী নয়।
ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বলছে, রূপান্তর বা মিউটেশনের পর করোনা কিছুটা পাল্টে গেলেও সমস্যা হবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তারা ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ‘নিবিড় যোগাযোগ’ রাখছেন।
করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর থেকেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, অন্য যে কোন ভাইরাসের মতো করোনাভাইরাসের এই নতুন ভাইরাসটিও মিউটেশনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হতে পারে। তার বৈশিষ্ট্য এবং আচরণে পরিবর্তন ঘটতে পারে।
যেটি গবেষকদের অবাক করেছে, তা হলো, এই ভাইরাসটি অনেক বেশি সহজে এবং দ্রুত ছড়াচ্ছে। আগেরটির তুলনায় এই নতুন করোনাভাইরাস ৭০ শতাংশ বেশি হারে ছড়াচ্ছে।