ষ্টাফ প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জেনারেল এসএম মুনীর হোসেন বলেছেন, সেদিন ধর্ষকদের বিপক্ষে থাকলে দেশে আজ ধর্ষণের কেস বৃদ্ধি পেতো না। বিএনপি ও তাদের দোসররা সেদিন ধর্ষকদের পক্ষ নিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করেছিল।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন কলারোয়ায় এসেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখার জন্য। দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান নিয়ে শেখ হাসিনা সেদিন কলারোয়ায় এসেছিলেন।
বিএনপি ও তাদের দোসররা সেদিন ধর্ষকদের পক্ষ নিয়ে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল। বিএনপি সেদিন ধর্ষকদের পক্ষ নেওয়ায় আজ দেশে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার (২৮নভেম্বর) তিনি কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার খোঁজ নিতে এসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথাগুলি বলেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকাকালে ২০০২ সালের ৩০আগস্ট কলারোয়ায় তার গাড়িবহরে হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেই মামলাটি দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর শুরু হয়েছে আজ তার বিচার কার্যক্রম। উক্ত মামলাটির সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শনিবার (২৮নভেম্বর) দুপুরে কলারোয়ায় আসেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারল এসএম মুনীর হোসেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী বাপ্পি।
তিনি কলারোয়ার চন্দপুর ইউনিয়নের হিজলদী গ্রামের সেই ঘটনাস্থলে যান এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীর হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন-কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আলিমুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে তিনি সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে বসে এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন।