ইবি প্রতিনিধি-
স্বাধীনাত্তোর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের বুক চিরে ১৭৫ একর জুড়ে জায়গা করে নিয়েছে সবুজ এক ক্যাম্পাস। যার নাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সংক্ষেপে ইবি। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর জন্ম হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ৪২ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে এটি।
প্রতিবছর জাঁকজমকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়ে থাকে। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অতিমারি করোনার কারণে স্বাস্থবিধি মেনে উদযাপিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। তবে উদযাপন সীমিত হলেও বর্ণিল পতাকা এবং ভবনসমূহ আলোকসজ্জিত করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ। এছাড়াও হল প্রভোস্টগণ স্ব স্ব হলে জাতীয় পতাকা ও হল পতাকা উত্তোলন করেন।
পতাকা উত্তোলন শেষে প্রশাসন ভবন চত্বরে শান্তি ও আনন্দের প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ভিসি প্রফেসর ড. আবদুস সালাম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ৪২ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ৪২টি ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়। অনুষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হল প্রভোস্ট, অফিস প্রধানগণ এবং বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ, ফোরাম ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এরপর বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সভাকক্ষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বাঁধা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিভিন্ন স্থাপনা এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্ণার, মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার ও একুশে কর্ণার আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে আছে।
ভিসি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও শ্রীবৃদ্ধিতে যারা অবদান রেখেছেন তিনি তাঁদের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এরপর তিনি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম জন্মদিনের কেক কাটেন।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা ৬টায় ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। বিশেষ অতিথি প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান এবং অতিথি হিসেবে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ অংশ নিবেন।
ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মিঠুন মোস্তাফিজের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ৪২ তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপ-কমিটি ২০২০-এর আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আহসান-উল-আম্বিয়া।