ইবি প্রতিনিধি-
হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে শ্যামা হচ্ছেন অশুভ শক্তির বিনাশকারী মাতৃরূপিণী দেবী। তাদের বিশ্বাস, সব অন্ধকার দূর করে শ্যামা জগতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবেন। কালীপূজা নামে বেশি পরিচিত এই পূজা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। আর দীপাবলি হচ্ছে অন্ধকার বিদূরিত করার লক্ষ্যে আলোর উৎসব।
সারা দেশের ন্যায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও (ইবি) আলোকিত হয়েছে দীপাবলির আলোয়। প্রদীপের আলোয় অন্ধকার দূর করার প্রত্যয়ে শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উৎসবসহ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে উদযাপন করে সনাতনধর্মী শিক্ষক-শিক্ষারর্থীরা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পূজা উদযাপন পরিষদ এ উৎসবের আয়োজন করে। সন্ধ্যায় প্রদীপ ও মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সুদীপ্ত কুমার মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক হৃদয় পাল, জয়ন্ত দেসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
এসময় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সিড়িসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন তাঁরা। পরে শান্তি, মুক্তি ও আনন্দের বাহকরূপী ফানুস উড়ানো হয়। একইসাথে ফুটে ওঠে আতশবাজির ঝলকানি। এসময় শিক্ষার্থীদের আনন্দধ্বনি ও কোলাহলে মেতে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। এছাড়াও টিএসসসিতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনালয়ে মিষ্টি বিতরণ, আরতি ও ধর্মীয় সংগীতসহ নানান ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।
দীপাবলি অনুষ্ঠানে পরিষদের সহ-সভাপতি সুদীপ্ত কুমার মণ্ডল বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের বাংলাদেশ। এ অনুষ্ঠান সেটাই প্রমাণ করে। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আমরা সবাই এক হওয়ার প্রত্যয় উদয় হোক সবার মাঝে। দীপাবলির এই আলোয় আমাদের দেশ, সমাজের সকল অমানিশা দূর হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।