মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
মহামারী করোনা;
যুগে যুগে কালে কালে আসছে মহামারী
পথ্য বিনে মানব সকল করছে আহাজারি,
সাধের সংসার মায়ার জীবন যাচ্ছে বিলীন হয়ে
সামনে বিপদ সঙ্কট পিছে আসছে বুঝি ধেয়ে।
বেঁচে থাকা শুধুই কি আর টিকিয়ে স্বীয় স্বার্থ
হচ্ছি নাকাল লাগছে নাকো টাকা কড়ি অর্থ।
কাজের ছেলে ধনীর দুলাল অভিন্ন আরোগ্যলয়
আমির ফকির সমানে হলো বিচারকের রায়।
মসজিদ মন্দির যেখানে যায় হোক না সেটা গীর্জা
রাজা বাদশা হদ্দ হলো সৈয়দ পাঠান মীর্জা।
সভ্যতা কি দিচ্ছেন শিক্ষা মানবিক মানুষ হতে
মহান যিনি বিধান দাতা নীতির পাঠ্য তাতে।
বৃক্ষরাজি পর্বতমালা কিংবা খুদে অপার কোনো সৃষ্টি
গগনের মেঘ গাহিছে, হে খোদা! হোকনা ফোটা বৃষ্টি।
কৃতজ্ঞতায় কাটেনি কখনও মৃত্যু ও জীবন সন্ধিক্ষণে
শুধু বুঝলে না মানুষ অন্য সৃষ্টি বুঝেছে প্রতি ক্ষণে।
মরীচিকায় স্বপ্ন আঁধারে না যায় মোরা ডুবে
এক জীবনে আশার কলসি মহামারিতেই নিবে।
জজ-ব্যারিষ্টার, সচিব, পুলিশ ছাড় পায় না কেউ
লাশের মিছিল অধুনা বিশ্বে লেগে কোভিডের ঢেউ।
আসমানেতে আসীন যিনি চাও গো পাপের মাফ
মহামারী করোনাকাল সত্যি কি! এ যুগের অভিশাপ।
কবি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিচারক বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস।