কোনোভাবেই মোকাবেলা করা যাচ্ছে না বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের। প্রথম দফা আক্রমণ স্তিমিত হয়ে না আসতেই দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়ে যাচ্ছে। ইউরোপজুড়ে তাই ফের লকডাউন চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স ৯টি শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেছেন, ‘কিছু একটা করতেই হবে। সংক্রমণের দ্বিতীয় দফাকে মোকাবেলা করতে হবে।’ খবর স্কাই নিউজের।
করোনার প্রকোপ কিছুদিনের জন্য কমেছিল ফ্রান্সে। আগের চেহারায় ফিরতে শুরু করেছিল শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির শহর প্যারিস। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও জরুরি অবস্থার মধ্যে যেতে হচ্ছে প্যারিসবাসীকে। জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে লিয়ঁ, মার্সেই ও তুলুসসহ আররো আটটি শহরে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন জানান, দিনের বেলা আংশিক খোলা থাকবে শহর। রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শাটডাউন চলবে। আগামী ৬ মাস এই নিয়ম বহাল থাকবে।
ইউরোপের আরেকটি দেশ জার্মানিতেও শুরু হয়েছে কড়াকড়ি। চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, ‘একটা বিষয় পরিষ্কার যে, এখন আমরা যা করব, তাই ঠিক করে দেবে আগামী দিনগুলো কী রকম হবে। আমাদের এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতেই হবে।’
এদিকে লকডাউন জারি করা হয়েছে স্পেনের মাদ্রিদেও। কাতালোনিয়ার পাব, রেস্তোরাঁগুলোও বন্ধ থাকবে আগামী ১৫ দিনের জন্য।