শরতের ‘কঠিন’ আবহাওয়া উপেক্ষা করে যুদ্ধকবলিত লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে যে নৌকা ডুবে গিয়েছিল তার মধ্যে উদ্ধার হওয়া ২২ জনের আটজন বাংলাদেশি নাগরিক।
বৃহস্পতিবারের ওই দুর্ঘটনার সময় ডিঙি আকারের নৌকাটিতে ঠিক কত জন বাংলাদেশি ছিলেন তা এখন জানা গেল। প্রাথমিকভাবে নৌকাটিতে ৩৫ জন যাত্রী থাকার কথা জানিয়েছিল এপি।
লিবিয়ার বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, ‘নৌকাটিতে ৩৮ জন বিদেশি নাগরিক ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি আটজন। উদ্ধারের পর তারা সবাই নিরাপদে আছেন।’
বাংলাদেশের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশের অভিবাসীরা ছিলেন বলে শুক্রবার জানিয়েছিল জাতিসংঘ।
ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, তিনটি লাশ পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক পুরুষ এবং এক নারীর বাড়ি সিরিয়ায়।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলের এলাকা জলিটেন থেকে গত বুধবার সন্ধ্যায় নৌকাটি যাত্রা শুরু করে। দেশটির কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, তারা উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
‘এই দিনগুলোতে অনেক নৌকা লিবিয়া ছেড়ে যাচ্ছে,’ জানিয়ে লিবিয়ার নৌ-কর্মকর্তা মাসউদ আবদাল সামাদ বলেন, ‘শরৎ খুব কঠিন মৌসুম। বাতাস শুরু হলে নদীতে প্রাণঘাতী অবস্থার সৃষ্টি হয়।’
লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফির পতনের পর এই দেশ দিয়ে অনেক অভিবাসী ইউরোপে যাওয়া শুরু করেন। পাচারকারীরা প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ নৌকায় মানুষদের সাগরে ভাসায়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে এই অঞ্চলে!
এই দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গেছেন তাদের ত্রিপোলি বন্দরের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।