নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করা মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব এবং হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে সশস্ত্র বাহিনী। তবে জনসাধারণের মধ্যে এ ব্যাপারে উদাসীনতা চলে আসায় কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সে লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে কঠোর হবেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী আগামীকাল থেকে দেশের সব স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারান্টাইনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে। সরকার প্রদত্ত নির্দেশাবলী অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার দেশের ৬২ জেলায় সেনা সদস্যরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবা, জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো, হোম কোয়ারেটাইন নিশ্চিত করা, দুস্থদের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কাজ করেন।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য গত ২৫ মার্চ থেকে মাঠে কাজ করছে সশস্ত্র বাহিনী। বুধবার সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছে। যত সেনা সদস্যের প্রয়োজন তিনি তা দেবেন। তবে অতিরিক্ত সেনা সদস্য মোতায়েন করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন সেনাপ্রধান।
এদিকে বিশ্বব্যাপী ভয়ংকর অবস্থা বিরাজ করলেও করোনাভাইরাস বাংলাদেশে এখনও তেমন মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনলাইন বিফ্রিংয়ে জানিয়েছেন, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে অচেনা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ছয়জনে। এছাড়া নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ জনে দাঁড়ালো।
ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও একজন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সরকারি সাধারণ ছুটি আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৪ এপ্রিল ছুটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। বরং ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন করে ছুটি ঘোষণা হয়েছে। তবে ১০ এবং ১১ এপ্রিল শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অফিস খুলবে ১২ এপ্রিল।
(এপিএসস/০২এপ্রিল/এমপিএনএস)