এপিএস নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
লাদাখে দু’দেশের মধ্যে সঙ্ঘাত পরিস্থিতি অব্যাহত। তার মধ্যেই এ বার অরুণাচলপ্রদেশ নিয়ে ভারতের ধৈর্য পরীক্ষায় নেমে পড়ল চিন। তাদের দাবি, অরুণাচলপ্রদেশের অস্তিত্বকে কখনও স্বীকৃতিই দেয়নি তারা। বরং ওই এলাকাটিকে তারা নিজেদের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ তিব্বত বলেই মেনে এসেছে।
চিনা বাহিনীর হাতে সম্প্রতি পাঁচ অরুণাচলি যুবকের অপহৃত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। তা নিয়ে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে ভারতের তরফে। তা নিয়ে সোমবার বেজিংয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ওই এলাকায় পাঁচ ভারতীয়র নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে চিনা বাহিনীর কাছে কী বার্তা এসেছে, সে ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।’’
এরই সঙ্গে অরুণাচল নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন ঝাও। তিনি বলেন,‘‘তথাকথিত অরুণাচলপ্রদেশকে কখনওই স্বীকৃতি দেয়নি চিন। ওই এলাকাটি চিনের অন্তর্গত দক্ষিণ তিব্বত।’’ তবে ঝাও এ ব্যাপারে তথ্য দিতে অস্বীকার করলেও, বিষয়টি নিয়ে যে চিনা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, গতকালই তা নিশ্চিত করেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
চলতি বছরের মে মাস থেকে লাদাখে চিনা বাহিনীর সঙ্গে সঙ্ঘাত চলে আসছে ভারতের। সেখান থেকে নজর ঘোরাতে চিন অরুণাচলকে নিশানা করতে পারে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যেই গত শনিবার আপার সুবনসিরি জেলার নাচো সেক্টরে পাঁচ যুবকের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর সামনে আসে।
সেখানকার কংগ্রেস বিধায়ক নিনং এরিং জানান, ওই এলাকায় জঙ্গলে শিকারে গিয়েছিলেন টাগিন জনজাতির সাত তরুণ। সেখানে সেরা-৭ এলাকা থেকে পিএলএ বাহিনী পাঁচ তরুণকে অপহরণ করে সীমান্তের ও-পারে নিয়ে গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে থাকা দুই যুবক কোনও ভাবে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তাঁরাই ফিরে খবর দেন গ্রামবাসীদের।
পুলিশ সূত্রে জানা জানা যায়, চিনা বাহিনীর হাতে আটক হওয়া তরুণদের নাম টোচ সিংকাম, প্রসাদ রিংলিং, ডোংটু এবিয়া, টানু বাকের ও গারু দিরি। চিনা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে যাতে দ্রুত তাঁদের ছেলেদের ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে সেনার কাছে আর্জি জানান অপহৃতদের পরিবারের লোক জন। তার পরই বিষয়টি নিয়ে পিএলএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
কিন্তু তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করা তো দূর, বরং অরুণাচলের অস্তিত্বের প্রসঙ্গ টেনে ফের সঙ্ঘাত উস্কে দিল চিন। আনন্দ বাজার