বুক রিভিউ
বই:দিবারাত্রির কাব্য
লেখক:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ধরণ:উপন্যাস
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বহুল আলোচিত উপন্যাস ‘দিবারাত্রির কাব্য’।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছেন ‘এটি গল্পও নয়,উপন্যাসও নয়,এটি রূপকের আরেক রূপ।’কাব্যধর্মী এ উপন্যাসের ঘটনা গড়িয়েছে প্রেম কাহিনি নিয়ে।যদিও সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে এটাকে স্বাভাবিক প্রেমের ফ্রেমে বন্দী করা যায় না।
এউপন্যাসের মূল চরিত্র ‘হেরম্ভ’,যিনি পেশায় একজন কলেজ শিক্ষক।হেরম্ভ একজন প্রেমপিপাসু ব্যক্তি কিন্তু কখনোই মানসীকে দখল করতে চায় না।সে মনেপ্রাণে ভালোবাসলেও কখনো বিয়ে করতে চাইতো না।তার জীবনে একে একে আসেন তিন নারী কিন্তু উমা আত্মহত্যা করে,সুপ্রিয়াকে হেরম্ভ নিজেই অশোকের সাথে বিয়ে দেয়।এর মাধ্যমে বেরিয়ে আসে হেরম্ভের দ্বিধাজড়িত প্রেম বা প্রকৃতি।তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়,হেরম্ভ প্রকৃত অর্থে কি চায়।
একসময় হেরম্ভের পুরীতে আগমন ঘটলে পূূর্বপরিচিত মালতী বৌদির মেয়ে আনন্দের সাথে প্রণয় হয়ে যায়।এরপর হেরম্ভের বিশ্লেষণপূর্ণ জীবন বাস্তবতায় রূপ নেয়।সে জীবনকে স্বাভাবিকভাবে বুঝতে শিখে।
কিন্তু সমস্যা বাঁধলো তখনই,যখন সুপ্রিয়া তার জীবনে ফিরে আসতে চাইলো।এমন সময় আনন্দ সবকিছু জানতে পারে।মিলনের অনিশ্চয়তা ও পারিবারিক অশান্তির জেরে হেরম্ভের তৈরিকৃত চিতায় আত্মাহুতি দেয় আনন্দ। উপন্যাসটির সবচেয়ে উত্তেজনাকর ঘটনা হলো আনন্দের মৃত্যু,যা উপন্যাসটিকে একটি প্লটে নতুন করে সাজিয়েছে।কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকে যায়,উমা ও আনন্দের মৃত্যুর জন্য কি আসলেই হেরম্ভ দায়ী।
লেখক:
মিনারুল ইসলাম,
শিক্ষার্থী,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
