এপিএস আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
হোয়াইট হাউসের দৌড়ে শেষমেশ ঢুকেই পড়লেন জো বাইডেন। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী হিসেবে গত কাল নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন বাইডেন।
বারাক ওবামার আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বাইডেন। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন ১৯৯৮ এবং ২০০৮-এ। দু’বারই টান পড়েছিল ভোটে। ২০২০-তে সসম্মানে উতরে গেলেন বাইডেন। অনলাইনে দলীয় সমাবেশের দ্বিতীয় দিনে ৫০টি প্রদেশের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধিরা ‘রোলকল ভোটে’ একযোগে তাঁকেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন গতকাল। এ বার তাঁর সরাসরি টক্কর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। এ বারও যে ট্রাম্পই হোয়াইট হাউসের দৌড়ে নামছেন, রিপাবলিকানদের সেই ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা। আগামী সপ্তাহে রিপাবলিকানদের সমাবেশ।
তার আগে প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার মতোই ট্রাম্পকে একহাত নিলেন দু’বারের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। ‘লিডারশিপ ম্যাটার্স’ শীর্ষক ভাষণে বাইডেনের হয়েই ব্যাট ধরে তিনি বলেন, ‘‘ওভাল অফিস জুড়ে এখন শুধুই বিশৃঙ্খলার ছড়াছড়ি। ট্রাম্পের দাবি, আমরা নাকি বিশ্বের নেতৃত্ব দিচ্ছি। অথচ বাস্তবে দেখুন, আমরাই একমাত্র শিল্পোন্নত, বড় অর্থনৈতিক শক্তি, যাদের বেকারত্বের হার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। চলতি অতিমারি বিপর্যয়ে, কমান্ড সেন্টার হয়ে ওঠার কথা ছিল ওভাল অফিসের। তার বদলে সেটি হয়ে উঠেছে ঝড়ের কেন্দ্র।’’ হোয়াইট হাউসের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় থাকা মানে যে শুধু দিনভর টিভি দেখা, সোশ্যাল মিডিয়ায় যাকে-তাকে আক্রমণ করা কিংবা দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া নয়, এ কথা বলেও ট্রাম্পকে বিঁধেছেন ক্লিন্টন।
স্বামীর হয়ে ভোট চেয়ে জিল বাইডেন বলেন, ‘‘অত্যন্ত ভারী বোঝা বইতে হচ্ছে আমাদের। এই অসময়ে আমাদের চওড়া কাঁধের প্রয়োজন।’’ ক্লিন্টন, মিশেল থেকে শুরু করে আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও প্রাক্তন বিদেশসচিব কলিন পাওয়েল গতকালই শুভেচ্ছো জানিয়েছেন ৭৭ বছর বয়সি বাইডেনকে। পাওয়েলের কথায়, ‘‘হোয়াইট হাউসে অভিজ্ঞতা, সাহস, নীতি আর মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে এখন বাইডেনের মতো প্রেসিডেন্টেরই প্রয়োজন।’’ আপ্লুত বাইডেনও দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, ‘‘এই মনোনয়ন আমার জীবনে পাওয়া সবচেয়ে বড় সম্মান।’’
জুনের থেকে কিছুটা কমলেও, জনপ্রিয়তার নিরিখে বাইডেন এখনও ট্রাম্পের থেকে প্রায় ৮ পয়েন্টে এগিয়ে। আজ ও কাল তাঁর সমর্থনে বক্তৃতা দেওয়ার কথা কমলা হ্যারিস, হিলারি ক্লিন্টন ও ওবামার। সূত্রের খবর, চার দিনের সমাবেশে সমাপ্তি ভাষণ দেবেন বাইডেনই। আনন্দ বাজার