নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের কীর্তনখোলাসহ বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার দুপুর থেকে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি ও বরিশাল শহরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যেতে দেখা যায়। বিশেষ করে শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধানগবেষণা ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশসহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে। অতিরিক্ত পানি ও প্রবল স্রোতের মুখে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সাথে বন্যা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার, হিজলার ধর্মগঞ্জে নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানে সুরমা-মেঘনা নদীর পানি ৪৯ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠির বিষখালি নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার, বেতাগীর বিষখালী নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার ও বামনার বিষখালী নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও বাদবাকি বেশিরভাগ নদ-নদীর পানিই বিপৎসীমার কাছাকাছি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী আবু মো. শফি জানিয়েছেন, উজানের পানির চাপের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে ২/১ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।