এপিএস আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ক্ষমতা বিস্তার ও গোটা বিশ্বকে নিজেদের নাগালের মধ্যে আনাই চিনের লক্ষ্য। তাই সকলের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে তারা। তাদের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে। মার্কিন সেনেটে দাঁড়িয়ে এ ভাবেই চিনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন সে দেশের বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। তাঁর মতে, চিনা আগ্রাসনের সামনে একেবারেই মাথা নোয়ানো চলবে না।
মে মাসের গোড়ার দিক থেকে লাদাখ নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সঙ্ঘাত চলে আসছে। তা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠার আগেই ভুটানের উপর নজর পড়েছে চিনের। ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্যকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করেছে চিন। ওই এলাকায় যাবতীয় বিনিয়োগেও আপত্তি তুলেছে তারা। তাতেই নতুন করে বেজিংয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন মাইক পম্পেয়ো।
বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির শুনানি চলাকালীন মাইক পম্পেয়ো বলেন, ‘‘আসলে ক্ষমতা বিস্তার এবং গোটা বিশ্বকে নিজেদের নাগালের মধ্যে আনাই চিনের লক্ষ্য। ১৯৮৯ সাল থেকে গত কয়েক দশক ধরেই নিজেদের উদ্দেশ্য নিয়ে ইঙ্গিত দিয়ে আসছে চিন। বিশেষ করে শি চিনফিং ক্ষমতায় আসার পর থেকে এমনটাই চলছে।’’
পম্পেয়ো বলেন, ‘‘নিজেদের মতো করে গোটা বিশ্বে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে চিন। এখন আবার ভুটানের এলাকাকেও নিজেরে এলাকা বলে দাবি করছে। ভারতেও অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। এতেই বোঝা যায় যে আসলে, সকলের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে চিন। দেখছে, কেউ তাদের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ায় কি না, হেনস্থার প্রতিবাদ জানায় কি না।’’
কিন্তু চিন যতই আগ্রাসী হয়ে উঠুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতেই হবে বলে মন্তব্য করেন পম্পেয়ো। তিনি বলেন,‘‘একবছর আগেও যতটা না নিশ্চিত ছিলাম, এ ব্যাপারে এখন তার চেয়ে ঢের বেশি আত্মবিশ্বাসী আমি। জানি ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত গোটা বিশ্ব। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি। বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে আমাদের।’’
দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষার্থে ১০৬টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত বেজিংকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন পম্পেয়ো। তবে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির হুমকির মুখে যে ভাবে একের পর এক দেশ রুখে দাঁড়াচ্ছে, তা মার্কিন কূটনীতিবিদদের দৌত্যের ফলেই সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আনন্দ বাজার