এপিএস ডেস্কঃ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। ভারত-বাংলাদেশ দৃঢ় সম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশকে ১০টি ডিজেল রেল ইঞ্জিন উপহার দেয় ভারত।
এ বিষয়ক সংবাদে আনন্দবাজার সরকারি সূত্রে জানায়, ‘প্রোটোকল অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন, হাইকমিশনারকে ডাকেন। কোভিডের কারণে দেখাসাক্ষাৎ মুলতুবি রয়েছে। এর অন্য কারণ খোঁজা নিরর্থক।’এদিকে ঢাকায় সরকারের সূত্র জানায়, বিগত চারমাস কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিকাংশ সাক্ষাৎকারই মুলতুবি রেখেছেন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সরাসরি ভারতীয় হাইকমিশন থেকে কোন শিডিউল চাওয়া হয়নি। উভয় ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কারণেই দেখা হয়নি।
এ বিষয় নিয়ে যে সকল খবর প্রকাশ করা হচ্ছে তাও সঠিক নয় বলে জানায় সূত্রগুলি। উল্টো বলা যায়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এই মহামারীর সময় আরও দৃঢ় হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য ভারত থেকে করোনার চিকিৎসার জন্য সহায়তা সামগ্রী নিয়ে জাহাজ পৌঁছিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য রেলওয়ে সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশের রেলখাতকে আরো মজবুত করতে ১০টি ইঞ্জিন প্রদান করেছে ভারত। এ সবকিছুর পরও একটি ফোনকলকে কেন্দ্র করে যে ধরণের আলোচনা করা হচ্ছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দৃঢ় সম্পর্কের আরেকটি উদাহরণ হলো, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলির সৌজন্য সাক্ষাত। আজ মঙ্গলবার ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।এ ছাড়াও বর্তমানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও পরস্পরের সম্পর্ক এবং সমন্বিত কার্যক্রম বেড়েছে আশাতীতভাবে। যা দুই দেশের মধ্যকার দৃঢ় সম্পর্কেরই নিদর্শন বলে মনে করছে উভয় দেশের কূটনীতিকরা। তাদের মতে, বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রয়েছে এক অন্য উচ্চতায়।