মোঃ আলাউদ্দীন মজুমদার শাহীন সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)সংবাদদাতাঃ
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরেফিরে দেখা গেছে, এবছর আগাম বর্ষা শুরু হওয়ায় কৃষকেরা ইরি বোরো ধানের খড় ঠিকমত সংগ্রহ করতে পারেনি। এছাড়া অগ্রীম বন্যার কারণে পতিত জমিতে গরুকে কাঁচা ঘাস খাওয়াতে না পেরে তাড়াতাড়ি খড় শেষ হয়ে পড়েছে। যার কারণে গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি এ বছর ধানের দাম বেশি হওয়ার কারনে বেড়েছে খুদ,গমের ভুষি ও খৈলের দামও সমান তালে। এজন্য গো মালিকেরা পড়েছে মহা বিপাকে। বিশেষ করে তারাপুর,বেলকা, হরিপুর,চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের গরু মালিকদের অবস্থা খুবই নাজুক। এক’শ ধানের আটির দাম ৭০০ হতে ৭৫০ টাকা, ১ মন খড়ের দাম ৫৫০ হতে ৬০০ টাকা, ১ কেজি খুদের দাম ৩৫ হতে ৪০ টাকা ও ১ কেজি ভুষির দাম ৪০ হতে ৪৫ টাকা।
সুন্দরগঞ্জ বাজারের গো খাদ্য ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া বলেন,স্থানীয় ভাবে খড় পাওয়া যাচ্ছেনা। আমরা দিনাজপুর হতে খড় নিয়ে আসি, খড়ের দামের চেয়ে ট্রাক ভাড়া ডাবল দিতে হয়। ৯ হাজার আটি নিয়ে আসতে ১৪ হাজার টাকা ট্রাক ভাড়া গুনতে হয়। এজন্য শতকরা আমাদের ১৫ হতে ২০ টাকা লাভ হয়। গরু মালিক আনজির হোসেন জানান, টাকা দিয়েও খড় -খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু খৈল – খুদ, ভুষি দিয়ে গরু পালন করা সম্ভব নয়। গরু মালিক মহির উদ্দিন বলেন, এক মাস থেকে গরুর খড় খুঁজতেছি কিন্তু মিলতেছেনা।গরুর দামও কম বিকিয়ে দিবারও পারছিনা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ফজলুল করিম বলেন, বর্ষালী ধান কাটাই মাড়ি শুরু হলে গো খাদ্যের সংকট কেটে যাবে। এছাড়া বন্যার পানি নেমে গেলেও সংকট কিছুটা কমে যাবে। সব মিলে গো খাদ্য সংগ্রহ করতে না পারায় গো মালিকদের দীর্ঘ নাভিশ্বাস উঠেছে