এপিএস আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
তৃতীয় দফার কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরেও সমাধানসূত্র অধরা। গালওয়ান উপত্যকা ও প্যাংগং লেকে সেনা সমাবেশ সরাতে রাজি নয় চিন। বেজিংয়ের যে কোনও পদক্ষেপের জবাব দিতে স্থল ও আকাশ পথে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ভারতও। তার সঙ্গে এ বার যোগ হল জলপথও। প্যাংগং লেকে যাচ্ছে নৌসেনার ভেসেল। প্যাংগং লেকে ভারতীয় সেনার টহলদাররির জন্য এক ডজন স্টিলের নজরদারি ভেসেল পাঠানো হচ্ছে বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর।
প্যাংগং লেকে টহলদারির জন্য চিন সেনার রয়েছে ৯২৮বি ভেসেল। তার সঙ্গে সমান তালে টক্কর দিতে এই বোটগুলি পাঠানো হচ্ছে। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বাহিনী যৌথ ভাবে এই ভেসেলগুলি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সি-৭ হেভি লিফ্টার বোয়িং বিমানের মাধ্যমে ভেসেলগুলি লে-তে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে আকাশপথে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেগুলি কাটিয়ে দ্রুত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। অন্য কোনও ভাবে বোটগুলি পাঠানো যায় কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন সেনা কর্তারা।
গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং লেক-সহ ভারত-চিন সীমান্তের সর্বত্রই নয়াদিল্লির অবস্থান হল, আগে থেকে ভারত কোনও আগ্রাসী পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু চিনের দিক থেকে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই সেই রকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে সব দিক থেকে তার মোকাবিলা করা যায়, সেই জন্য প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। তার অঙ্গ হিসেবেই প্যাংগং লেক বরাবর চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে এই ভেসেলগুলি প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বলেই সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবারই ভারত ও চিন সেনার কোর কমান্ডার পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের নির্যাস বলতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা। সেনা সমাবেশ সরানো নিয়ে কথাবার্তা। কিন্তু এর বাইরে গালওয়ান উপত্যকা বা প্যাংগং লেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে চিন সেনা সরাবে, এমন কোনও প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাস মেলেনি বলেই ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর। বরং বিভিন্ন উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা, রসদ ও অস্ত্রশস্ত্র মজুত বাড়িয়েই চলেছে বেজিং। তৈরি করছে সেনা ছাউনির মতো নানা কাঠামোও। এই পরিস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে সেনা সরিয়ে স্থিতাবস্থা ফেরানো এবং বেজিংয়ের তরফে কোনও রকম আগ্রাসন হলে তার উপযুক্ত জবাব দিতে নিজেদের প্রস্তুত রাখার কৌশলেই এগোচ্ছে নয়াদিল্লি। আনন্দ বাজার